একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শতাধিক খুদে পড়ুয়ারা স্কুলের সামনে জড়ো হল পোস্টার নিয়ে। নবদ্বীপ জিতেন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবনবল্লভ রায়কে গত ১৩ মার্চ নদিয়া জেলা শিক্ষা সংসদ থেকে মৌখিক ভাবে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে কৃষ্ণনগরের পশ্চিম কালীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ১৪ মার্চ এ খবর শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। শিক্ষকের বদলি রুখতে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। কোনও শিক্ষককেই ঢুকতে দেন না স্কুলে। স্কুলের সামনে ঘণ্টাখানেক পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পর সকলে মিলে হাজির হন নবদ্বীপ মহকুমার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে। সেখানেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিভাবকেরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিল না। ইনি আসার পর স্কুলের চেহারা বদলে গিয়েছে। এখন তাঁকে সরানো হলে স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা তা হতে দেব না।” অন্য অভিভাবকেরাও বলেন, “সর্বশিক্ষা নিয়ে এত কথা বলে শেষে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদই ক্ষতি করছে ছাত্রছাত্রীদের। প্রয়োজনে স্কুলে লাগাতার তালা ঝোলাব। কিন্তু প্রধান শিক্ষককে ছাড়া হবেনা।”প্রধান শিক্ষক জীবনবল্লভ রায় বলেন, “কেন বদলি করা হল তা বলতে পারব না। তবে সাধারণত এভাবে বদলি করা যায় না। ২৬ বছর শিক্ষকতা করছি। তার মধ্যে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম। সাধারণভাবে কোনও স্কুলে শিক্ষক অতিরিক্ত হলে এসআই সেখানে স্থানীয় কোথাও শিক্ষককে বদলি করেন। আমাকে প্রায় ৪০ কিমি দুরে বদলি করা হয়েছে।” তবে অভিভাবকদের বিক্ষোভের সামনেও নবদ্বীপ শহর চক্রের এসআই সীতাংশু সেনগুপ্ত বলেন, “নবদ্বীপ শহর চক্রের দু’জন শিক্ষকের বদলির নির্দেশ এখনও পর্যন্ত আমি পেয়েছি। সভাপতির পাঠানো নির্দেশ নিয়ে আমার কিছু বলার অধিকার নেই। তবে ইনি বদলি হয়ে গেলেও খুব দ্রুত প্রধান শিক্ষক আসবেন ওই স্কুলে সেটুকু বলতে পারি। বদলি রদ করার কোনও ক্ষমতা আমার নেই।” |