টুকরো খবর
কিশোরীর হাতে খুন শিশুকন্যা
প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আচমকাই দা নিয়ে সকলকে আক্রমণ করেন নদিয়ার চাকদহের ইছাপুরের এক কিশোরী। দু’মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয় তার দা’য়ের আঘাতে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির মা পম্পা দাস, ঠাকুমা সাবিত্রী দাস ও দুই দিদি স্নিগ্ধা ও শ্রেয়া দাস। তাঁদের রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে শিশুটির কাকা প্রবীর দাস ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “ঘটনার কারণ পরিষ্কার নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। মেয়েটিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির বাবা প্রদেশ দাস পেশায় সবজি বিক্রেতা। এ দিন দুপুরে আচমকাই তাঁদের প্রতিবেশী ওই কিশোরী অসীমা দাস দা হাতে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হন। সেই সময় তাঁর স্ত্রী ওই শিশুকন্যাকে ঘুম পাড়াচ্ছিলেন। পাশেই ছিল তাঁর অন্য দুই মেয়ে। অসীমাকে ঠেকাতে এসে আহত হন প্রদেশবাবুর মা সাবিত্রীদেবীও। পদেশবাবুর ভাই প্রবীরবাবু বলেন, “আমি মেয়েকে নিয়ে ঘরে শুয়েছিলাম। হঠাৎ আমার স্ত্রী চিৎকার করে ওঠে। বাইরে এসে দেখি সবাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেক কষ্টে ওই মেয়েটির হাত থেকে দা ছিনিয়ে নিই। আমারও আঘাত লেগেছে।” তিনি আরও বলেন, “মেয়েটি কেন এ ভাবে আক্রমণ করল, তা বুঝতে পারছি না। কিছু দিন আগে একবার জমি নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। পরে তা নিয়েও আর সমস্যা ছিল না।” স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য স্বদেশ দাস বলেন, “মেয়েটির বাবা বছরখানেক আগে মারা গিয়েছে। ভাই কলকাতায় চাকরি করে। সবাই ওকে ভালো মেয়ে বলেই জানে। কেন এমন দুর্ঘটনা ঘটাল বুঝতে পারছি না।”

এনএভিএফ কর্মীকে ‘ক্লোজ’
এক মহিলার সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ঘরের মধ্যে এনএভিএফ কর্মী অজয় মণ্ডলকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। মুর্শিদাবাদ থানার বালিরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ওই পুলিশ কর্মীকে বেশ কিছু ক্ষণ ঘরবন্দি করে রাখেন তাঁরা। খবর পেয়ে ফাঁড়ির পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে ওই পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসীরা ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান। বুধবার রাতের ওই ঘটনার জেরে অজয় মণ্ডলকে বহরমপুর থানায় ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাঁকে বহরমপুরে ‘ক্লোজ’ করে তদন্ত শুরু হয়েছে।” তবে গ্রামবাসীরা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েও ঠিক কাজ করেননি বলে পুলিশ সুপার জানান। মুর্শিদাবাদ থানা থেকে মাস ছয়েক আগে ওই এনভিএফ কর্মীকে বালিরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয়। বালিরঘাট দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা ওই মহিলার শাশুড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, “গোটা বিষয়টি গ্রামবাসীদের সাজানো। পুরনো বিবাদের জেরে তাঁরা ওই ষড়যন্ত্র করেছে।” বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান লালবাগের সার্কেল ইন্সপেক্টর অরূপকুমার সরকার।

পিএইচই কর্তা ঘেরাও
গত বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য অস্থায়ী শৌচাগার ও পানীয় জলের নলকূপ বসানোর পর বছর ঘুরতে চললেও সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থাগুলিকে একটি পয়সাও দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মুর্শিদাবাদ জেলা নির্বাহী আধিকারিককে তাঁর কার্যালয়ে ঘেরাও করে রাখেন প্রায় দেড়শটি নির্মাণ সংস্থার কর্তারা। সরকারি ওই দফতরের কাছ থেকে ওই তাদের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। বকেয়া মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঘেরাও উঠলেও বকেয়া না পেলে ফের আন্দোলের হুমকিও দিয়েছে ওই সংস্থাগুলি। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মুর্শিদাবাদ জেলা নির্বাহী আধিকারিক ঋতম ভট্টাচার্য বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলাই নয়, গোটা রাজ্যের সব জেলাতেই গত বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য অস্থায়ী শৌচালয় নির্মাণ ও পানীয় জলের নলকূপ বসানো হয়। ভোটগ্রহণের বুথ করা হয়েছিল সেই সব স্কুল-কলেজেও শৌচালয় নির্মান ও পানীয় জলের নলকূপ বসানো হয়। ওই প্রকল্পের টাকা দেওয়ার আগে রাজ্য অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে কয়েকটি জিজ্ঞাসা রয়েছে। ওই জিজ্ঞাসার জবাব দিতে না পারায় গোটা রাজ্যে জুড়েই ওই প্রকল্পের টাকা অর্থ দফতর থেকে পাওয়া যায়নি।”

অস্ত্র-সহ ধৃত
অস্ত্র-সহ সাতজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নবদ্বীপের মণিপুর থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাত জন ডাকাতির উদ্দেশ্যে মণিপুরে জড়ো হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে পাইপগান, দু’রাউন্ড গুলি, ধারালো অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের অনুমান এরা কোনও বড় চক্রের অংশ। বৃহস্পতিবার তাদের নবদ্বীপ জুডিশিয়াল আদালতে তোলা হয়। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নবেন্দু মণ্ডল বলেন, “সাত জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৯৯ এবং ৪০২ ধারায় ও অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।” এই সাত জনের বেশিরভাগই প্রৌঢ় এবং বৃদ্ধ। তিনি বলেন, “যাদবপুর, মছলন্দপুর, বেলুড়, কালনা, উত্তরপাড়া বিভিন্ন জায়গায় এদের বাড়ি। বেশ কিছু দিন ধরেই নানা জায়গায় এরা ডাকাতি, কেপমারি করে বেড়াচ্ছে। বিচারক তাদের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।”

দম্পতির মৃত্যু
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক দম্পতির। ধানতলার শঙ্করপুর বিশ্বাসপাড়া গ্রামে বুধবার গভীর রাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন শিখা বিশ্বাস (৩০)। তারপরে এই দিন সকালে বাড়ির কাছেই একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় শিখাদেবীর স্বামী রমেশ বিশ্বাসের (৩৮) দেহ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন শিখাদেবীর মা দুর্গা দাসও। তাঁকে জখম অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। আর তাঁকে বাধা দিতে গিয়েই আহত হন দুর্গাদেবী। পুলিশ সূত্রে খবর, কামালপুরের শঙ্করপুর বিশ্বাসপাড়ার ওই দম্পতির সঙ্গেই থাকতেন শিখাদেবীর মা। ওই দিন গভীর রাতে হঠাৎই গোঙানির শব্দে স্থানীয়রা শিখাদেবীর বাড়িতে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে তিনি ও তাঁর মা। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রমেশবাবুর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একটি দা ও একটি শাবল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উত্তরপত্র নদীতে
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বুধবার, পরীক্ষার প্রথম দিনে বগুলা হাইস্কুলের ওই ছাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে উত্তরপত্রটি লুকিয়ে বাইরে নিয়ে আসে। ওই ছাত্রের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল হাঁসখালি হাইস্কুলে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবল বিশ্বাস বলেন, “আমরা বগুলা হাইস্কুলে খবর পাঠাই। ওরাই ওই ছাত্রকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। আমাদের কাছে সে সব কথা স্বীকারও করেছে। বিষয়টি কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে।”

ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক ভ্যানচালকের। বৃহস্পতিবার সকালে কান্দির হাটপাড়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম মণিরুল শেখ (৩৮)। বাড়ি কর্ণসুবর্ণ এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বহরমপুর থেকে যাওয়ার সময় ট্রাকটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান তিনি। পুলিশের অনুমান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই দুঘর্টনা ঘটেছে।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে সুফল দাস (২৬) নামে এক যুবকের। কান্দির কল্যাণপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা ঘটে। পরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.