বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়
চলতি মাসেই কোর্ট-কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ
কোর্ট ও কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে সেই গত সেপ্টেম্বরেই। ৫ মাস ধরে অভিভাবকহীন হয়ে রয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও পঠনপাঠনের পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কোর্ট ও কাউন্সিল তৈরিতে উদ্যোগী হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী।
বিশ্ববিদ্যালয়-কোর্টের অনুমতি ছাড়া সমাবর্তন করে কাউকে পিআইচডি, ডিলিট, ডিএসসি ডিগ্রি-শংসাপত্র দেওয়া যায় না। ২০১১-তেও সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফি-বছর এপ্রিলে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত বছর কোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র উপযুক্ত অডিটোরিয়ামের অভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা যায়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা। এ বার আবার কোর্ট না-থাকায় সমাবর্তন করা না-গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে। এই অবস্থায় উপাচার্য জানিয়েছেন, মার্চের মধ্যেই কোর্ট ও কাউন্সিল গঠনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগকেই প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, মার্চের মধ্যেই কোর্ট ও কাউন্সিল গঠনের কাজ সম্পূর্ণ হবে। যদিও দু’টি ক্ষেত্রেই নির্বাচনের মাধ্যমেও কয়েক জন প্রতিনিধি আসেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও সরকারি প্রতিনিধি দিয়ে গঠিত কোর্ট ও কাউন্সিল কাজ চালাবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন-প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্টের সদস্য সংখ্যা ৬৬ জন। যেখানে আচার্য, উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা থাকেন। কলেজের অধ্যক্ষরা থাকেন। মোট ৫৬ জন মনোনীত প্রতিনিধি থাকেন। আর নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকেন ১০ জন। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে সদস্য থাকেন ৩১ জন। মনোনীত সদস্য হন ১৭ জন। আর ১৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। দু’টি ক্ষেত্রেই মনোনীত প্রতিনিধির সংখ্যাই ৫০ শতাংশের বেশি। যে প্রতিনিধিদের বেশিরভাগকেই মনোনীত করেন উপাচার্যই। আচার্য বা রাজ্যপালও তাঁর প্রতিনিধি মনোনয়ন করেন। এ ছাড়াও সরকারি প্রতিনিধি মনোনয়ন করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক ও মন্ত্রী। ফলে ‘মনোনীত’ প্রতিনিধি দিয়ে কোর্ট ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালানো যাবে বলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ, কর্মী নিয়োগ থেকে পরিকাঠামো উন্নয়ন--সব ক্ষেত্রেই এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের অনুমতি প্রয়োজন হয়। বিশেষত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ছাড়া কর্মী-নিয়োগ একেবারেই সম্ভব নয়। তা ছাড়াও কাউন্সিল না থাকলে কোটি কোটি টাকা খরচের দায়িত্ব বর্তায় কেবলমাত্র উপাচার্যের উপরে। উপাচার্যের কথায়, “এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই প্রকল্প তৈরি, কাকে কাজের বরাত দেওয়া হবে--তা ঠিক করা হয়। কাউন্সিল থাকলে কারও একার উপরে দায় বর্তায় না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.