মিসবা উল হকরা আজ শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানকেই শুধু এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রায় নিয়ে গেলেন না, ভারতের কাজও অনেকটা সহজ করে দিলেন। আগামিকাল বাংলাদেশকে ধোনিরা হারাতে পারলেই এশিয়া কাপ ফাইনালে সেই দুই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখা যাবে-- ভারত-পাকিস্তান।
এ দিন বোনাস পয়েন্ট পেয়ে যাওয়ায় দু’ম্যাচে পাকিস্তানের দাঁড়াল নয় পয়েন্ট। ভারত এক ম্যাচে চার। কাল ভারত জিতলেই হয়ে যাবে ৮। সে ক্ষেত্রে ছিটকে যাবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
আজ শুরুতে অবশ্য মনে হচ্ছিল, শ্রীলঙ্কা ঝামেলায় ফেলতে পারে পাকিস্তানকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারে আইজাজ চিমা দেন ১৭ রান। দিনের শুরুতে যিনি খলনায়ক ছিলেন পাক শিবিরে, সেই চিমাই অবশ্য নায়ক হয়ে যান পরের ৪৫ ওভারের মধ্যে। শ্রীলঙ্কার তিন মহাতারকাই তাঁর শিকার। জয়বর্ধনে (১২), দিলশান (২০) এবং সঙ্গকারা (৭১)। শেষ পর্যন্ত নয় ওভারে ৪৩ রানে চার উইকেট নেন চিমা। সঈদ আজমল নেন তিন উইকেট।
চিমা যেখানে ভাঙলেন, সেখানে গড়লেন পাক অধিনায়ক মিসবা এবং উমর আকমল। লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৮৯। কিন্তু তাতেও একটা সময় চাপে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ৩৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ১৫২ রান যোগ দলকে বোনাস পয়েন্ট-সহ ম্যাচ জেতান মিসবা (৯৩ বলে ৭২ ন.আ.) এবং আকমল (৭২ বলে ৭৭)। শ্রীলঙ্কার রান ৩৯.৫ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে তুলে দেয় পাকিস্তান।
শুরুতে শ্রীলঙ্কার ওপেনারদের হাতে মার খাওয়ার পর কি মনে হচ্ছিল আপনার? ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে চিমা বলে গেলেন, “প্রথম দিকে মার খেয়ে আমি একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক মিসবা এবং আফ্রিদি আমার পাশে ছিল। ওরা বলে, উইকেট নেওয়ার কথাই মাথায় রাখতে। আর কিছু নয়।” |