নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
বাগনানের পশ্চিম মানকুড়ে একটি সেতু বেঙে পড়ায় গ্রামের মানুষেরা চরম অসুবিধায় পড়েছেন। সেতুটি কাঠের। এর আগেও এটি ভেঙে পড়েছিল। বার বার কাঠের তৈরি সেতু ভেঙে পড়ায় পাকা সেতু তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সেতুটি রয়েছে রূপনারায়ণের একটি সুতি খালের উপরে। ৬০ ফুট লম্বা এবং ৩ ফুট চওড়া সেতু। এটি তৈরি করেছিল সেচ দফতর। বছর খানেক আগে সেতুটি প্রথম ভাঙতে শুরু করে। কোনওমতে জোড়াতালি দিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব হলেও মাস ছ’য়েক আগে সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এর ফলে গ্রামবাসীরা যাতায়াত করতে পারছেন না।
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় |
পশ্চিম মানকুর, বাকসি, চিৎনান প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু সেতুটি ভেঙে পড়ায় এর নীচে দিয়ে খালের হাঁটু জল ভেঙে পারাপারা করতে হচ্ছে। যদিও রূপনারায়ণে জোয়ারের জল বেড়ে গেলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। তার পরে অনেকটা ঘুরপথে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হয়। বহু মানুষ সাইকেল, ভ্যান রিকশা প্রভৃতিতে চড়ে যাতায়াত করেন। সেই সবও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝুমা মল্লিক এবং রবীন মল্লিক বলেন, “সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছিল। মেরামতির ব্যাপারে সেচ দফতরের কোনও আগ্রহ ছিল না। আমাদের দাবি। কাঠের সেতু আর চলবে না। পাকা সেতু বানাতে হবে।” এই সেতুটি বাকসি পঞ্চায়েতের অধীন। উপ-প্রধান তাপস মণ্ডল বলেন, “আমরা পাকা সেতু তৈরির বিষয়ে সেচ দফতর-সহ বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কেউই কোনও সাড়া দেননি।”
সেতুটির বিষয়ে বিষয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন সে কথা জানিয়ে আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, “সেচ দফতর কাঠের সেতুটিকেই ফের মেরামত করার জন্য মাপজোক করেছে। কিন্তু আমি তাদের সাফ জানিয়েছি, কাঠের সেতু আর নয়, পাকা সেতু তৈরি করতে হবে।” সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, পাকা সেতু করার ব্যাপারে অর্থ একটা বড় ব্যাপার। অনেক সেতুই পাকা করার দাবি উঠেছে। সেই অনুপাতে দফতরের হাতে টাকা নেই। ফলে, গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুরাহা হবে কী ভাবে, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। |