|
|
|
|
রাজ্যসভার আসন ভাগ নিয়ে বিহারে দ্বন্দ্বে নীতীশ-বিজেপি |
স্বপন সরকার • পটনা |
রাজ্যসভার একটি আসনের দখল নিয়ে বিহারের শাসক এনডিএ জোটের দুই শরিকের মনান্তরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। নীতীশ কুমারের জেডিইউ বনাম বিজেপি-র মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। আজ দুই দলের প্রথম সারির মন্ত্রীরা নীতীশ কুমারের উপস্থিতিতে বৈঠক করেও কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারেননি।
ফলে পরিস্থিতি শুধু জটিলই নয়, রাজ্য রাজনীতিতে দুই পক্ষের অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নীতীশ বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিহার থেকে রাজ্যসভার ৬টি আসনে ৩০ মার্চ নির্বাচন হবে। ১৯ মার্চ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দিন যত এগিয়ে আসছে দুই শরিক দলের মধ্যে অনৈক্যের ছবিটা ততই স্পষ্ট হচ্ছে। নীতীশ কুমার এই নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “ছ’নম্বর আসনে বিজেপি আমাদের দলের প্রার্থীকে সমর্থন করবে, এই আশাই আমি করছি।” অন্য দিকে, বিজেপি-র এক নেতার কথায়, “অতিরিক্ত ভোট আমাদেরই বেশি। তাই ষষ্ঠ আসনটি আমাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হোক।”
প্রতিটি আসনের জন্য ৩৫টি প্রথম পছন্দের ভোট দরকার। জেডিইউ বিধায়কের সংখ্যা ১১৮। অর্থাৎ তিনটি আসনে ৩৫ টি করে ভোট দেওয়ার পর তাদের হাতে থাকছে ১৩টি অতিরিক্ত ভোট। বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন ৯১ জন। দলের দুই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পর তাদের হাতে অতিরিক্ত ভোটের সংখ্যা ২১। মোট ৩৪ টি প্রথম পছন্দের ভোট এনডিএ প্রার্থী পেলে তিনিই জিতবেন।
এই পরিস্থিতিতে জেডিইউ বিজেপি-র সঙ্গে বিধান পরিষদের আসন নিয়ে দর কষাকষিতে নেমেছে। এপ্রিলে ১১টি বিধান পরিষদ আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে আরজেডি-র প্রাপ্য ১ টি আসন। জেডিইউ ও বিজেপি-র প্রাপ্য যথাক্রমে ৬ ও ৪টি আসন। নীতীশ কুমার আজকের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, আগামী পরিষদের নির্বাচনে পাঁচটি আসন বিজেপিকে দেওয়া হবে। বিনিময়ে তাঁরা রাজ্যসভার আসনটি ছেড়ে দিন। বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব এই প্রস্তাবে রাজি নন। বিজেপি-র বক্তব্য, রাজ্যসভার দু’টি আসনে ভোট দেওয়ার পরে তাদের অতিরিক্ত ২১টি ভোট হাতে থাকবে। যা জেডিইউ-এর চতুর্থ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে জেডিইউ-এর তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরে তাদের ঝুলিতে থাকবে মাত্র ১৩টি ভোট।
দ্রুত অচলাবস্থা কাটাতে নীতীশ বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বও তাকিয়ে আছেন দিল্লির দিকে। |
|
|
|
|
|