নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন দফতরের তৈরি বাড়িগুলির নকশা ও নির্মাণে ‘দারুণ’ ত্রুটি রয়েছে। নতুন আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই মন্তব্য করেছেন। ওই আয়ের মানুষের জন্য নতুন করে কোনও আবাসন প্রকল্প তৈরি বা মেরামতির কাজও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার দফতরে নির্দেশ জারি করে মন্ত্রী বলেন, “নতুন বাড়ির নকশা, নতুন প্রকল্প অথবা মেরামতির কোনও ওয়ার্ক-অর্ডার, যা ইতিমধ্যেই চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দফতর থেকে পাশ হয়েছে, সব বাতিল করা হল।” এর পর থেকে মেরামতি সংক্রান্ত সব রকম কাজের ব্যাপারে ই-টেন্ডার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি কলকাতার বিভিন্ন অংশে আবাসন দফতরের এলআইজি আবাসনগুলি ঘুরে এসে এই নবার যুবভারতীতে কিছু হোর্ডিং কাটতে যায় পুরসভা। তখন ওই সব হোর্ডিং সংস্থার মালিকেরা তাঁদের সঙ্গে যুবভারতী কর্তৃপক্ষের এই সংক্রান্ত চুক্তির কাগজ দেখান।
|
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ অনুপম দত্ত বলেন, “ওই সব হোর্ডিং বাবদ পুরসভা কোনও টাকা পাচ্ছিল না। স্টেডিয়ামের পাশ, তা-ও তাঁর দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও সচিবেরা জানেন না। নোটশিটে এ কথাও রয়েছে যে, অনেক চেষ্টায় বাড়িগুলির হদিস পাওয়ার পরে তাঁর মনে হয়েছে, বহু দিন ধরে ওই সব আবাসনে তাঁর দফতরের কোনও অফিসার যাননি। সরকারি সূত্রের খবর, মন্ত্রী এমনও বলেছেন যেয়ের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণের পাশে ‘স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র (সাই) কমপ্লেক্সে হোর্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতিতে কর আদায় করা হবে। তবে যেহেতু সেখানে হোর্ডিংয়ের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে, তাই পুরসভা-কর্তৃপক্ষ সাই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে টেন্ডারের মধ্যে ‘ভিস্যুয়াল ট্যাক্স’-এর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।
অনুপমবাবুর দাবি, এত দিন কেবল আবাসিক বাড়ি থেকে এই ধরনের কর আদায় করা হয়েছে। কিন্তু অন্য সরকারি বা বেসরকারি জমির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য ছিল না। এই কর ধার্য না হওয়ায় শুধুমাত্র স্টেডিয়াম ও সাই চত্বর থেকেই বছরে পঁচিশ লক্ষ টাকা পুরসভার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
একটি হোর্ডিং সংস্থার অধিকর্তা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভার জমি নয়, এমন সরকারি, বেসরকারি কিংবা ব্যক্তিগত জমির উপরে বসানো হোর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কর নেওয়ার জন্য আমরা কয়েক বছর ধরেই পুরসভার কাছে আবেদন করছিলাম। এখন ওঁরা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কিন্তু তার আগে করের পরিমাণ কত হবে, তা আমরা পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি।” |