প্রশ্নপত্র-বিভ্রাট, প্রশ্নে ভুল ও অসঙ্গতির পরে এ বার যানবাহনে মিলছে উত্তরপত্র! বৃহস্পতিবার একটি অটোরিকশায় মাধ্যমিকের উত্তরপত্র পাওয়া গিয়েছে খাস কলকাতা শহরেই। অটোরই এক যাত্রীর তৎপরতায় সেই খাতাগুলি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষককে ফিরিয়ে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পরীক্ষকদের সচেতনতা নিয়েই।
এ দিন সকালে ফুলবাগান-গিরিশ পার্ক রুটের একটি অটোর ভিতরে মাধ্যমিকের বাংলা প্রথম পত্রের চারটি খাতা পড়ে থাকতে দেখেন অসীম কর নামে বৌবাজারের এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “অটোর পিছনের আসনে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে চালকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, সেটি কার? তিনি জানান, হয়তো কোনও যাত্রী ফেলে গিয়ে থাকবেন। কৌতূহলবশে ওই প্যাকেটটি খুলে দেখতে পাই, ভিতরে মাধ্যমিকের চারটি উত্তরপত্র, বাংলার প্রশ্নপত্র, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মডেল উত্তর ইত্যাদি রয়েছে।” খাতাগুলি এর পর বিধাননগর পূর্ব থানায় জমা দিয়ে দেন অসীমবাবু।
পুলিশের কাছ থেকে ঘটনার খবর জানতে পেরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কয়েক জন প্রতিনিধি ওই উত্তরপত্র এবং অন্য কাগজপত্র নিয়ে যান। জানা যায়, এক শিক্ষিকা খাতাগুলি অটোয় ফেলে গিয়েছিলেন। তিনিও পৌঁছে যান পর্ষদের অফিসে। মানিকতলা এলাকার বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা বেহালার একটি স্কুলে কর্মরত। পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকার বক্তব্য, ব্যাগ খুলে অটোর ভাড়া মেটাতে গিয়ে তিনি প্যাকেটটি অটোর আসনে রেখেছিলেন। তার পরে সেটি নিতে ভুলে গিয়েছেন।
এর আগেও বিভিন্ন বছরে ট্রেনে, এমনকী রাস্তার আঁস্তাকুড়েও উত্তরপত্র ফেলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতি বছরেই বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়। তা সত্ত্বেও আবার পরীক্ষার খাতা পাওয়া গেল অটোয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এ ব্যাপারে কী ভাবছে?
পর্ষদের সভাপতি চৈতালি দত্ত জানান, ওই পরীক্ষককে মাধ্যমিকের মোট ১৩৮টি খাতা দেওয়া হয়েছে। এ দিন ঠিক কী ঘটেছিল, লিখিত ভাবে তা জানিয়ে মুচলেকা দিয়ে চারটি খাতা নিয়ে গিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। ওঁর স্কুলের পরিচালন সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে ‘কড়া ব্যবস্থা’ নেওয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানান চৈতালিদেবী। |