অর্থনীতির হাল ফেরানোর দাওয়াই থাকুক, দাবি শিল্পের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আর্থিক সংস্কারের হাত ধরে ফের ৯ শতাংশের দিকে মুখ ফেরাবে ঝিমিয়ে পড়া বৃদ্ধির হার। আবার একই সঙ্গে, সেই বৃদ্ধির সুফল ছড়িয়ে দেওয়া যাবে সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে। গড় মাথা-পিছু আয়ের অঙ্ক যেমন বাড়বে, তেমনই কমবে দারিদ্র। আমজনতার হাতে টাকার পরিমাণ বাড়লে, বাড়বে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা। আর আড়ে-বহরে বৃদ্ধি পাওয়া ওই বাজারের বাড়তি চাহিদার হাত ধরেই বিকোবে ফসল। উৎপাদন বাড়বে কল-কারখানাতেও। এ ভাবে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর দাওয়াই আজ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাজেটে থাকবে বলেই আশা করছে শিল্পমহল। বিশ্ব আর্থিক সঙ্কট আর জোট-রাজনীতির প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে অর্থমন্ত্রী সেই দাওয়াই কী ভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন, তা দেখতেই শুক্রবার টিভির পর্দায় চোখ রাখবেন তাঁরা।
যেমন, সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই লক্ষ্যে কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হারকে অন্তত ৪ শতাংশে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। কৃষি পণ্য বিপণন আইন সংশোধন করতে রাজ্যগুলিকে আর্থিক ভাবে উৎসাহ দিক তারা। জোর দেওয়া হোক সেচ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরেও। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরও বেশি করে বেসরকারি ক্ষেত্রের হাত ধরুক সরকার। একই সঙ্গে, দেশের আর্থিক ভিত মজবুত করতে রাজকোষ ও রাজস্ব ঘাটতি কমানোয় জোর দিক কেন্দ্র। তার জন্য গোড়াতেই ভর্তুকির বোঝা কমাক তারা। প্রায় অবিসংবাদিত ভাবেই শিল্পমহল মনে করে, আগামী দিনে বৃদ্ধির রথের চাকা ফের ৯-১০ শতাংশের দিকে ছুটবে কিনা, তা নির্ভর করছে দু’টি বিষয়ের উপর এক, সংস্কারের পথে কতটা দৃঢ় ভাবে পা বাড়াবে মনমোহন সরকার। বিলগ্নিকরণ, পণ্য-পরিষেবা কর, প্রত্যক্ষ কর বিধি ইত্যাদি ঘোষণায় এর আঁচ মিলবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
দুই, পরিকাঠামো নির্মাণে কতটা জোর দেবে কেন্দ্র। মিনহার্ড ইন্ডিয়ার এমডি রাজেশ শ্রীবাস্তবের মতে, এই ক্ষেত্রে আগামী ৫ বছরে অন্তত ৪৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন ভারতে।
পৃথক ভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রত্যাশা রয়েছে প্রায় প্রত্যেক শিল্পের তরফ থেকেও। যেমন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতী এয়ারটেলের সিইও সঞ্জয় কপূরের দাবি, এ বার কর সংক্রান্ত কিছু সুবিধা দিক কেন্দ্র। টুজি, থ্রিজি বা ব্রডব্যান্ড স্পেকট্রাম বণ্টনের বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা দাবি করছেন তাঁরা।
ব্রডব্যান্ড পরিষেবার প্রসারে কর সংক্রান্ত সুবিধা মিলবে বলে আশাবাদী ইনফো এজ (ইন্ডিয়া)-এর সিইও এবং এমডি হিতেশ ওবেরয়। করছাড়ের প্রস্তাব দেন জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাজীব জৈনও। |