তছরুপের অভিযোগ
ন্যের নামে জাল জব কার্ড বানিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পে কয়েক লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে আরএসপি পরিচালিত দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের দ্বীপখন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। তথ্য জানার অধিকার থেকে ওই দুর্নীতি ধরে এলাকার প্রাক্তন সেনা কর্মী অলক সরকার সোমবার জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বছর দ্বীপখন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজে জেলায় প্রথম স্থান পায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১০০ দিনের প্রকল্পে ওই পঞ্চায়েত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচের সাফল্য দেখিয়েছে। ফলে এই প্রকল্পে আর্থিক নয়ছয়ের সঙ্গে ওই পঞ্চায়েতের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক স্তরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এলাকার সোনাহার মৌজায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পুকুরে মাটি কাটার তালিকায় ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর নাম রয়েছে। জব কার্ডে নাম রয়েছে এলাকার আইসিডিএসের মহিলা কর্মী স্বপ্না মন্ডল, মুক্তিরানি ঘোষ, মিষ্টির দোকানি বিপুল রায়, ব্যবসায়ী যুধিষ্ঠির মালো, মানিকচাঁদ বর্মনদের মতো বাসিন্দাদের। অথচ তাঁরা জানেনই না যে তাদের নামে জব কার্ড তৈরি করে কয়েক দফায় মাটি কাটা বাবদ মজুরির কয়েক হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। ডাকঘরে অ্যাকাউন্টও খুলে ছদ্মবেশী জবকার্ডধারীদের দিয়ে টিপ সইয়ের মাধ্যমে এই নয়ছয়ে পঞ্চায়েতের একাংশ কর্তাব্যক্তি জড়িত বলে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার প্রকল্পের জেলার নোডাল অফিসার কৌশিক সিংহ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। কমিটি গড়ে তদন্ত হচ্ছে।” ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের আরএসপি প্রধান সরলা বর্মন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের টাকা তছরূপের অভিযোগের বিষয় জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।” যদিও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করায় ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী অলকবাবুকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তপনের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “বর্তমান প্রধানও ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। কেননা, ২০০৮ সালে বোর্ড গঠন হওয়ার পরেও বেনামে জবকার্ড করে টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। প্রশাসন সঠিক ভাবে তদন্ত করলে ১০০ দিনের প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি ধরা পড়বে।” গত বছর জেলার হরিরামপুর ব্লকে ১০০ দিনের কাজে প্রায় কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে বিডিও সুমন মাঝির জেল হয়। তথ্য জানার অধিকারের নথি থেকে জানা গিয়েছে, পুকুরে মাটি কাটা বাবদ অলকবাবুর নামে জবকার্ডে ৩৮ দিন কাজের হিসাব দেখিয়ে দিন প্রতি ৭০ টাকা মজুরি বাবদ ২০০৭ সালের ২০ মার্চ মোট ২৬৬০ টাকা এবং ওই বছর ১ মে ২১ দিন কাজের হিসাব দেখিয়ে মোট ১৪৭০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অলোকবাবু বলেন, “আমি কোনও দিন ১০০ দিনের কাজ করিনি। তা ছাড়া ১ মে তারিখে ১৪৭০ টাকা তোলার যে হিসাব দেখানো হয়েছে, ওই দিন তো মে দিবসের ছুটি ছিল। ডাকঘর, ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল।” অলকবাবুর মতো ব্যবসায়ী যুধিষ্ঠির মালো এবং মানিক বর্মনও জানেন না তাঁদের নামে ২০০৮ সালে দু’দফায় ১০০ দিনের মাটি কাটার মজুরি বাবদ ৮ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী স্বপ্না মন্ডল, মুক্তিরানি ঘোষেরা তো এদিন ঘটনার কথা জেনে আকাশ থেকে পড়েন। স্বপ্নাদেবী বলেন, “জবকার্ড কবে হল? আর কবেই বা মজুরির টাকা তুলে নেওয়া হল কিছুই জানি না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.