বাইরে ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এলেও, বিধানসভার অন্দরে জোট-সম্পর্কই বহাল রাখল কংগ্রেস ও তৃণমূল। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের বিধায়ক প্রতিনিধিত্বের ভোটে দুই শরিক পরস্পরের বিরুদ্ধে না লড়ে জোটবদ্ধ হয়ে ছিটকে দিল বামফ্রন্টকে। মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জোট নিয়ে ‘স্পর্শকাতর’ জেলায়ও দুই শরিক জিতল পারস্পরিক বোঝাপড়ায়।
কোন জেলায় কোন দলের বিধায়ক সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তা স্থির করতে সোমবার বিধানসভায় ব্যালটে ভোটাভুটি হয়। ১৯টি জেলার ১০২টি আসনের মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৮টি আসন জেতে তৃণমূল। বাকি ৬৪টি আসনে ভোট হয়। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে ৩৮টিতে জিতেছে তৃণমূল। কংগ্রেস ১৯টিতে। সিপিএম ২, ফরওয়ার্ড ব্লক ২, ডিএসপি ও আরএসপি ১টি করে ও কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল ১টি আসন পেল। গত বছর পর্যন্ত বেশিরভাগ ছিল বামেদের। ভোট হওয়া ৬৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ‘শক্ত ঘাঁটি’ মুর্শিদাবাদের ছ’টি আসনেই কংগ্রেসের প্রার্থীদের সমর্থন জানান ওই জেলার তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুব্রত সাহা।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪ আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন করেন কংগ্রেসের জ্ঞানসিংহ সোহনপাল ও মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করে তৃণমূল। বীরভূমে কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব, নাম সমর্থন এমনকী তাঁর পক্ষে ভোটও দেন তৃণমূলের বিধায়করা। জোটে লড়ে ‘সুফল’ পেয়ে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা মহম্মদ সোহরাব বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে আগেই বোঝাপড়া হয়েছিল। জোট ধর্ম মেনে ভোট হয়েছে।” সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে মুর্শিদাবাদ, মালদহে প্রার্থী না থাকায় কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে তৃণমূল।” |