পরীক্ষা শুরুর এক দিন আগে, মঙ্গলবারেও অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। এমনকী অনেকে আবেদনপত্রও পূরণ করেন এ দিন। হাতে হাতে অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে যান তাঁদের অনেকেই।
এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ, বুধবার। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, গত বছর ডিসেম্বরেই আবেদনপত্র পূরণের সময়সীমা ধার্য ছিল। ওই সময়ের মধ্যে যাঁরা আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেননি, তাঁদের জন্য পরে সময়সীমা বাড়ানো হয়। গত শনি-রবিবারেও আবেদনপত্র পূরণ করেছেন অনেক ছাত্রছাত্রী। সংসদের উপ-সচিব (পরীক্ষা) মলয় রায় মঙ্গলবার রাতে বলেন, “এ দিনও অনেকে আবেদনপত্র পূরণ করেছেন। তাঁদেরও অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে।” শেষ বেলায় এ ভাবে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে কেন? মলয়বাবু বলেন, “আসলে আবেদনপত্র পূরণ করতে না-পারায় এক জন পড়ুয়ার একটা বছর নষ্ট হয়ে যায়। তাতে জীবনের অনেকটা ক্ষতি। সেটা যাতে না-হয়, সেই জন্য শেষ মুহূর্তেও আবেদনপত্র পূরণ করে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।”
শেষ মুহূর্তে অ্যাডমিট কার্ড পেলে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্র, আসন ইত্যাদি নিয়ে সমস্যার আশঙ্কাও থাকে। তা হলে কিন্তু আবেদনপত্র পূরণ করা এবং অ্যাডমিট কার্ড পেতে এত দেরি হওয়ার কারণ কী?
মলয়বাবু বলেন, “অনেক পরীক্ষার্থীর নিজেদের গাফিলতি তো আছেই। অনেক সময় আবার স্কুলের দোষেও ছাত্রছাত্রীরা সময়মতো আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেন না। তবে পরীক্ষা কেন্দ্র এবং আসন নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।”
এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে ৭ এপ্রিল। আজ নেওয়া হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা। গত বারের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লক্ষেরও বেশি। এ বার পরীক্ষা দিচ্ছেন সাত লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৬৭ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা তিন লক্ষ ৯৪ হাজার ৩২১ এবং ছাত্রীর সংখ্যা তিন লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪০। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা সওয়া ১টা নাগাদ। পরীক্ষা নিয়ে কোনও সমস্যা হলে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করা যাবে। হেল্পলাইনের নম্বর: ২৩৩৭-৪৯৪৫, ২৩৩৪-৩৯৯৩, ২৩৩৪-৭১২৫।
|
পরীক্ষা পিছোল স্কুল সার্ভিস কমিশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একই দিনে রেলের একটি নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় ৩ জুন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নির্ধারিত পরীক্ষা হচ্ছে না। এসএসসি-র চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল মঙ্গলবার জানান, পরীক্ষার পরিবর্তিত দিন পরে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, “একই দিনে দু’টি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে। সেটা মাথায় রেখে এসএসসি-র নির্ধারিত পরীক্ষাটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশন বৈঠকে বসে পরীক্ষার পরবর্তী দিন স্থির করবে।” |