আজ, বুধবার, ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসকে সরকারি ভাবে ‘কৃষক-দিবস’ পালনের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করল বামেরা। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকের পরে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “ফসলের দাম না-পেয়ে রাজ্যে ৩৮ জন কৃষক ও খেতমজুর আত্মহত্যা করেছেন। সেখানে এ ভাবে কৃষক-দিবস পালন অদ্ভুত!” বিমানবাবু জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যে ভাবে কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করছে, তার প্রতিবাদে ১ এপ্রিল রাজ্য জুড়ে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলি ‘প্রতিবাদ-দিবস’ পালন করবে।
বিমানবাবু আরও বলেন, “ইতিমধ্যেই রেলে পণ্যমাসুল বেড়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেটে সারের দাম আরও বাড়বে। বর্ধিত দাম কার্যকর হবে ১ এপ্রিল থেকে। গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ যে ভাবে বাড়ছে, তার প্রতিবাদ হওয়া উচিত। কী ভাবে প্রতিবাদ করা হবে, সেই কর্মসূচি ঠিক করতে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলি ২২ মার্চ বৈঠকে বসছে।” একদিকে চাষের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না এই অবস্থায় কৃষি-সঙ্কট ক্রমেই রাজ্যকে খাদ্য-সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে বিমানবাবুর আশঙ্কা। বামেদের অভিযোগ, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে যে সব জায়গায় বামেরা ক্ষমতায় আছে, সেখানে পঞ্চায়েতকে ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে ফ্রন্টের বৈঠকেও আলোচনা হয়। পরে বিমানবাবু বলেন, “বহু জায়গাতেই তৃণমূলের বহিরাগতরা পঞ্চায়েত অফিসে বসে পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। নির্বাচিত প্রধানদের কাজ করতে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে বিডিও-দের কাছে অভিযোগ জানিয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও ফল হচ্ছে না। গ্রামে উন্নয়নের কাজ আটকে যাচ্ছে। ১০০ দিনের কাজও ঠিকমতো হচ্ছে না। গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে।” |