তরুণীকে বাড়ি ফেরাল জেলা প্রশাসন |
নিখোঁজ তরুণীকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দিল জেলা প্রশাসন। বিহারের আরা জেলার উদ্ধবনগর থানার ছোটা সাসারাম গ্রামের বাসিন্দা অমৃতা কুমারী নামের ২১ বছরের ওই তরুণীকে মঙ্গলবার তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুরুলিয়া প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২৫ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার জয়পুর এলাকায় ওই তরুণীকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এলাকার এক মহিলা জয়পুর থানার পুলিশের কাছে নিয়ে যান। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অমৃতাকে পাঠানো হয়েছিল সমাজ কল্যাণ দফতরের আনন্দমঠ হোমে। মহকুমাশাসক (পুরুলিয়া সদর) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে ছোটবেলায় মেয়েটির জীবনে ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘ়টনার জেরে সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। তাই বেশিরভাগ সময়েই তিনি চুপচাপ থাকতেন। সব প্রশ্নের উত্তর দিতেন না। শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন অমিতা মিশ্র বলেন, “অমৃতার সঙ্গে কথা বলে তাঁর পরিবারের ঠিকানা পাওয়ার পরে যোগাযোগ করা হয়েছিল। ওঁর বাবা এ দিন মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এ দিন পুরুলিয়ার(সদর)মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে মেয়েকে নিয়ে গেছেন বাবা অশোককুমার শাহ। অশোকবাবু বলেন, “দিল্লিতে পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল অমৃতা।.বিস্তর খোঁজ করার পরেও সন্ধান না পেয়ে মেয়েকে ফেরত পাওয়ার আশা কার্যত ছ়েড়েই দিয়েছিলাম।
|
তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগে ধৃত তালড্যাংরার বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রের জামিনের আবেদন ফের খারিজ হল। মঙ্গলবার খাতড়া আদালতের এসিজেএম ফটিকচন্দ্র মণ্ডল তাঁকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর ওই সদস্য। আদালত তাঁকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে পুলিশ তাঁকে জেরা করার জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। ৬ মার্চ আদালত তাঁকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ওই মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ দিন তাঁকে ফের আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁর আইনজীবী চঞ্চল রায় এ দিনও জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু সরকারি আইনজীবী নারদ ভুঁইয়া বিরোধিতা করেন। বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে ১৪ দিন জেলহাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ২৭ মার্চ ফের বিধায়ককে খাতড়া আদালতে তোলা হবে। চঞ্চলবাবুর দাবি, “মনোরঞ্জনবাবু বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে চাইলে তার ব্যবস্থা করার জন্য বিচারক জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।” |