|
|
|
|
অঙ্গনওয়াড়ির চাল-ডাল ‘লুঠ’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাড়া |
সিডিপিও-র অফিস থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নার চাল-ডাল জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি পাড়া ব্লকের। এই ঘটনায় সোমবার রাতে তিন জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন পাড়া ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও) দিলীপ মণ্ডল। অভিযুক্তেরা হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা স্থানীয় ভাবে সিপিএম সমর্থক হিসাবে পরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিহরপুর গ্রামে তিনটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি ক্লাস হওয়ার স্থায়ী ঘর নেই। নেই শিশুদের খাবার রান্না করে দেওয়ার ঘরও। তাই পালা করে গ্রামের সিপিএমের সমর্থকদের বাড়িতে রান্না করা হচ্ছিল। গোলমাল বাধল বিধানসভা নির্বাচনের পরে। তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, এ বার থেকে তাঁদের বাড়িতেই রান্না করা হবে। এই নিয়ে বিবাদের জেরে জানুয়ারি মাসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির রান্না বন্ধ থাকে। প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। রান্না দায়িত্ব পায় গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। কিন্তু এ নিয়ে দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল থামেনি।
শুক্রবার সকালে হরিহরপুর গ্রামের কয়েকজন সিপিএম সমর্থক পাড়া ব্লকের সিডিপিও-র দফতরে গিয়ে গ্রামের তিনটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বরাদ্দ করা চাল-ডাল তাঁদের হাতে দেওয়ার দাবি জানান। সিডিপিও-র অভিযোগ, “হরিহরপুর গ্রামের কয়েকজন এসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নার সামগ্রী দাবি করে। দিতে অস্বীকার করায় ওরা জোর করেই রান্নার জিনিস নেয়।”.পুলিশের কাছে সিডিপিও অভিযোগ করেছেন, ১২ কুইন্ট্যাল চাল, ৪৫০ কেজি ডাল, ২৪ লিটার তেল ও ৩০ কেজি নুন নিয়ে গিয়েছে ওই গ্রামবাসীরা।
ঘটনার কথা চাউর হতেই সোমবার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পাড়ার বিডিও অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) আবিদ হোসেন বলেন, “ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য সিডিপিও ইতিপূর্বেই রান্নার সামগ্রী দিয়েছেন। তারপরেও কিছু লোক জোর করে রান্নার সামগ্রী নিয়ে গেছেন। সিডিপিওকে আইনি পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।”
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা পরেশ আর্চার্যের অভিযোগ, “হরিহরপুর গ্রামে আগে সিপিএমের লোকজন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নার কাজ পরিচালনা করত। কিন্তু শিশুরা খাবার পেত না। তাই গ্রামের বাসিন্দারাই রান্নার দায়িত্ব নিয়েছেন। ক্ষমতা হারিয়ে সিপিএমের কর্মীরা সরকারি দফতর থেকে রান্নার সামগ্রী লুঠ করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ওদের বিরুদ্ধে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” সিপিএমের দাবি, সিডিপিও-র নির্দশেই ওই গ্রামবাসীরা রান্নার সামগ্রী এনেছেন। তৃণমূল প্রশাসনকে চাপ দিয়ে তাঁদের কর্মী সমর্থকদের ফাঁসিয়েছে। |
|
|
|
|
|