|
প্রদীপ কুমার প্রামাণিক
প্রধান শিক্ষক
|
|
পরিকাঠামোর সমস্যাই সুষ্ঠু শিক্ষাদানে বড় বাধা |
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের অন্যতম গঞ্জ কাকদ্বীপ। শহরে যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ যোগ্যতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কাকদ্বীপ শিশু-শিক্ষায়তন হাইস্কুল। ১৯৬৩ সালে যখন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় তখন আজকের এই রূপ ছিল না। স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষানুরাগীর অদম্য জেদ ও সংকল্প নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে এই স্কুলের জন্ম দেয়। জন্মলগ্ন থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ৩২ বছর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচয় বহন করতে হয়েছে। এর পর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্যদের স্বীকৃতি পায়। কৌলিন্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। যা পরবর্তীকালে পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার জন্ম দিয়েছে। তবে হাজারো সমস্যাতেও বিদ্যালয়ের আদর্শ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সে দিকে সর্বদাই সচেষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা সকলেই। |
এ বছর বিদ্যালয়ের সুবণর্জয়ন্তী। নবনির্মিত বিদ্যালয় ভবন যখন দীর্ঘদিনের শ্রেণিকক্ষের সমস্যার সমাধান করতে চলেছে, তখন আর এক সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের পুরনো তিনতলা ভবনটিতে বিরাট ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য প্রশাসনিক সমস্ত স্তরে জানিয়েও এ ব্যাপারে কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। ফলে এই মুহূর্তে প্রায় দু’ হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যায় শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর অভাবও একটি বড় সমস্যা।
|
আমার চোখে |
স্নিগ্ধা কর্মকার।
ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট গার্ল |
|
এই বিদ্যালয়কে আমি সবসময় আমার দ্বিতীয় বাড়ি বলেই মনে করি। বাড়িকে পরিবারের অন্যরা যে ভাবে আমাকে সহযোগিতা তরেন আগলে রাখেন, বিদ্যালয়েও আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে সেভাবেই থাকি। যে কোনও সমস্যা হলে তাঁদের সহযোগিতা সব সময়েই পাই। শুধু পুথিগত বিদ্যায় নয়, ছাত্রছাত্রীরা যাতে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে সে জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। স্কুলে অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু সব সমস্যাকে জয় করে কী ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে তাও শিখিয়েছেন মাস্টারমশায়েরা। এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসাবে গর্ব অনুভব করি।
|