হাজিরা খাতা থেকে আস্ত পাতাটাই উধাও। পাতাটি ২৮ ফেব্রুয়ারির। সিটুর ডাকা ওই দিনের ভারত বন্ধে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ছিল, সরকারি কর্মীদের অনুপস্থিতির ‘সাজা’ সার্ভিস ব্রেক। কৃষ্ণনগরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে সেদিনও অনুপস্থিত ছিলেন কয়েক জন। সোমবার অনুপস্থিত কর্মীদের তালিকা তলব করতেই উধাও হয়ে গিয়েছে ওই দিনের পাতা। হাজিরা খাতায় সই করতে গিয়ে ওই দিন কর্মীরা দেখেন ২৮ ফেব্রুয়ারি বন্ধের দিনের পাতাটা ব্লেড দিয়ে কেটে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলার স্বাস্থা দফতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত হালদার। কোনও মন্তব্যই করছেন না তিনি। জেলাশাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। যেই হাজিরার খাতা ছিঁড়ুক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বন্ধের দিন যে কর্মীরা দফতরে উপস্থিত হবেন না, উপযুক্ত কারণ না দেখালে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। ওই কর্মীদের এক দিনের বেতন কাটা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। আর সেই কারণেই বন্ধের দিন উপস্থিত ছিলেন না এমন কোনও কর্মীই ওই কাজ করেছেন বলে দাবি করছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল নন গেজেটেড হেল্থ এমপ্লয়িজ অ্যাসোশিয়েশনের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক গোপাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সোমবারই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। কিন্তু এ দিন সিএমওএইচ না আসায় কোনও ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আমাদের দাবি যে বা যারা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্য সচিবের নির্দেশিকা পাওয়ার পর যে বা যারা বন্ধের দিন আসেন নি তারাই ভয়ে এ কাজ করেছেন।” |