বছর সতেরোর এক কিশেরের বিয়ে আটকাল প্রশাসন। মঙ্গলবারই সুতি থানার বাজিতপুর দক্ষিণ গ্রামে সাদুল শেখ নামে ওই যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে এই নাবালকের বিয়ের খবর পান সুতি-২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও। মূলত তাঁর উদ্যোগেই পুলিশের সাহায্য নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল বিয়ে। যদিও পাত্রের বাবা সুমেল শেখের দাবি, “কে বলেছে আমার ছেলের বয়স ১৭? ওর একুশ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। তবুও প্রশাসন ও পঞ্চায়েত যখন বলছে, তখন তো আর সে কথা অমান্য করতে পারি না। তাই আপাতত বিয়েটা বন্ধ হয়েছে।” ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্লক সুপারভাইজার বিজয় হাজরা বলেন, “মূলত সচেতনতার অভাবেই এই অবস্থা। বাল্য বিবাহ এখানে একটা বড় সমস্যা। এই বিষয়ে একাধিক শিবির হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটি রয়েছে। সেখান থেকেই এই বিয়ের খবর পাই আমরা। বিডিও-কে জানাই। পঞ্চায়েত কর্তাদের নিয়ে ওই কিশোরের বাড়িও যাই আমরা। ওর বাবা-মাকে বহুক্ষণ বোঝাই। পরে যুগ্ম বিডিও পঞ্চায়েতের সাহায্য নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। ”
বাজিতপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ মহম্মদ রাজেশ বলেন, “এই বিয়ে বন্ধের ঘটনা এলাকায় একটা বার্তা দেবে। আশা করব এর ফলে ভবিষ্যতে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবনতা কিছুটা হলেও কমবে। এখআনে শিক্ষার হার ৩৫ শতাংশের বেশি নয়। এই এলাকায় বেশির ভাগই বিড়ি শ্রমিকের বাস। অনেকেই অল্প বয়সে ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।”
যুগ্ম বিডিও বিমানচন্দ্র দাস বলেন, “সব সময়ে প্রশাসনের কাছে এ ধরণের খবর এসে পৌঁছয় না। গ্রামবাসীরা সচেতন হচ্ছেন বলেই এই ধরণের ঘটনা কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হচ্ছে। পঞ্চায়েতগুলো সক্রিয় হলে এই ঘটনা আরও কমবে। ২১ বছরের বেশি বয়সে ছেলেদের বিয়ে হলে তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার পর বিয়ে করতে পারবে। তাছাড়া কম বয়সে বিয়ে মানে স্বাস্থ্য নিয়েও একটা সমস্যা হয়। মানুষকে এ ব্যাপারে আরও বোঝানোর প্রয়োজন রয়েছে। |