মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ‘দলত্যাগী’ কংগ্রেস সদস্যদের তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও তিনি দল ছাড়ছেন না বলে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন। মঙ্গলবার বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “দলের চার জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তালিকায় আমার নাম রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু কংগ্রেস ছাড়ার কোনও প্রশ্ন নেই। দলত্যাগের ব্যাপারে আমার সঙ্গে কারও কোনও কথাও হয়নি।” সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন জেলা পরিষদের অন্য এক কংগ্রেস সদস্য জ্যোৎস্না মণ্ডলও। তাঁর দাবি, “বাজারে গুজব আমিও দল ছাড়ছি। সেটা অপপ্রচার। তা জানাতেই এসেছি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতি আমার বিশ্বাস অটুট।”
অধীর আপাতত দিল্লিতে। সেখান থেকেই তিনি বলেন, “এই ঘটনাই প্রমাণ করছে তৃণমূল নীতিহীনতার রাজনীতি করে।” সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সিদ্দিকা বেগম। দলত্যাগে ইচ্ছুক জেলা পরিষদের আট কংগ্রেস সদস্যের যে তালিকা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়কে দেওয়া হয়েছিল তাতে সিদ্দিকা ছাড়াও মোজাম্মেলের নাম ছিল। মুকুলবাবু জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বাণী ইসরাইল, ধনঞ্জয় ঘোষ, কমলেশ সেনগুপ্ত ও ষষ্ঠীচরণ মাল চারজনের দলত্যাগের কথা ঘোষণা করলেও বাকিদের সম্পর্কে কিছু জানাননি। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, তালিকায় মোজাম্মেলের নামও ছিল। সিদ্দিকা তৃণমূলে যোগ দিলে তা অধীরের কাছে ‘ধাক্কা’ বলে মনে করছে জেলা কংগ্রেসের একাংশ। মোজাম্মেল জেলা কংগ্রেসে পুরনো ‘অধীর-পন্থী’ বলে পরিচিত।
মোজাম্মেলের বক্তব্যে সামান্য হলেও অধীরের স্বস্তির কারণ রয়েছে। বাণী ইসরাইল বলেন, “চাপের মুখে বা অন্য কারণে কেউ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলে কিছু করার নেই। যে আটজন কলকাতায় গিয়েছিলাম, সেখানে মোজাম্মেলও ছিলেন।” মোজ্জাম্মেলের দাবি, “এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে চাঁপদানি গিয়েছিলাম। কলকাতায় নয়। সেখানেই আমায় নিয়ে গুজবের কথা জানতে পারি। তারপরেই জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে আসি।” |