ফুটবলাররা পা বাঁচিয়ে খেললে কেন সুনীল ছেত্রী, ভাসুম, জোয়াকিম, জুয়েল রাজাদের চোট লাগল?
জাতীয় কোচ স্যাভিও মিদেইরার বিস্ফোরক মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে ক্ষিপ্ত ফুটবলারদের পাল্টা প্রশ্ন এ রকমই। স্যাভিওর বিস্ফোরণ নিয়ে আপনি কী বলছেন? অধিনায়ক সুনীলের মুখে আঙুল, কানেও। খোঁড়াতে খোঁড়াতে ডিনারে যাওয়ার সময় বিরক্ত গলায় বললেন, “এ নিয়ে কিছু বলব না।” সহ-অধিনায়ক রহিম নবির কথা, “খুব দুঃখ পেলাম এমন কথা শুনে। নতুন দলকে সময় দিতে হবে। যদি ফুটবলাররা পা বাঁচাতে খেলে, তা হলে সুনীল, ভাসুমরা এখানে চোট পেল কী করে?” সামগ্রিক ভাবে অধিকাংশ ফুটবলারের মুখেই নবির কথা ঘুরছে। তাঁদের মুখ বন্ধ করার জন্য দৌড়ে বেড়াচ্ছেন জুনিয়র মিডিয়া অফিসার উপেন্দ্র সিংহ। তাঁর লক্ষ্য সাংবাদিকদের আটকানো।
তাতে অবশ্য ফুটবলারদের কামান দাগা থামেনি। রাতে হোটেলে শুধু স্যাভিওর বিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনা। সিনিয়রদের অনেককেই কোচের উদ্দেশে পাল্টা বলতে শোনা গেল, “এই কথাগুলো প্রথম ম্যাচের পরে বলা হয়নি কেন? পিঠ বাঁচাতেই এ সব বলছেন উনি।”
স্যাভিও শুধু সাংবাদিক সম্মেলনেই ফুটবলারদের তোপ দাগেননি। ড্রেসিংরুমেও ফুটবলারদের তিরস্কার করেছেন। সেটা অনেকেই ভাল ভাবে নেননি। তাঁদের মুখে ঘুরছে রব বানের ব্যবহার। ড্রেসিংরুমে ঢুকে বান বরং বলেছেন, “সাধ্যমতো লড়েছ। তোমাদের দেশের পরিকাঠামো একটা সমস্যা। তোমাদের কিছু করার নেই।” বানের সঙ্গে স্যাভিওর তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফেডারেশনের খবর, বানের রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে স্যাভিওর ভাগ্য। স্যাভিওর উপর চাপ বাড়াচ্ছেন ক্লাব কর্তারা। নিয়মিত ফোন আসছে ফুটবলারদের কাছে। মোহনবাগানের সুনীলের গোড়ালিতে চোট, জুয়েলের কোমরে। ইস্টবেঙ্গলের ভাসুম হোটেলে ফিরলেন প্লাস্টার নিয়ে। ডেম্পোর জোয়াকিম, স্পোর্টিংয়ের আদিল খোঁড়াচ্ছেন। এ সব দৃশ্যও এখন অর্থহীন জাতীয় দলে কোচ-ফুটবলার সংঘাতে। |