নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই দিনের বেলায় শহরে লরি ঢোকার বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ট্রাফিক-পর্যালোচনা বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক। মহকুমাশাসকের দফতরে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরপ্রধান প্রণব বসু প্রমুখ। বৈঠক শেষে মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায় বলেন, “নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শহরের মধ্যে কিছু লরি এখনও ঢুকছে। কেন এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” ট্রাফিক ব্যবস্থার ‘হাল’ কতটা ফিরল, গৃহীত সিদ্ধান্তই বা কতটা কার্যকরী হলতা খতিয়ে দেখতে ফের ২৫ মার্চ মহকুমাশাসকের দফতরে বৈঠক হবে বলে ঠিক হয়েছে। |
মেদিনীপুর শহরে যানজট সমস্যা লেগেই থাকে। শহরের কেরানিতলা, সিপাইবাজার, স্কুলবাজার, এলআইসি মোড় প্রভৃতি এলাকায় প্রায়শই যানজট হয়। ব্যস্ত সময় একের পর এক গাড়ি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে, সমস্যায় পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষ। শহরবাসীর বক্তব্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রে লরি ঢোকার ফলেই যানজট হয়। শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা এমনিতেই সঙ্কীর্ণ। সেখানে একটি লরি কোনও ভাবে আটকে গেলেই আর কোনও গাড়ি যাতায়াত করতে পারে না। এই পরিস্থিতি এড়াতেই দিনের বেলায় শহরের মধ্যে লরি ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত ২ মার্চ মহকুমাশাসকের দফতরে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রবিবার বাদে সপ্তাহের বাকি ছ’দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহরের মধ্যে লরি ঢুকবে না। শহরের এলআইসি মোড় ও কেরানিতলায় যে সিগন্যাল রয়েছে তা চালু হবে। সিপাইবাজার এলাকায় যানজট সমস্যা এড়াতে নতুন একটি বাসস্টপ করা হবে। এতদিন কেরানিচটি দিয়ে শহরের মধ্যে যে সব বাস ঢুকত, সেগুলি সিপাইবাজার মোড়ে দাঁড়াত। আবার যে সব বাস শহর ছেড়ে বেরোত, সেগুলিও এখানে দাঁড়াত। সমস্যা এড়াতে সিপাইবাজার মোড়ের অদূরে স্পোটর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমির কাছে নতুন একটি বাসস্টপ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিধায়ক ও মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি জানান, যত দ্রুত সম্ভব স্পোটর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমির কাছে যাত্রীদের জন্য শেড তৈরি হবে।
এত কিছুর পর সামান্য হলেও শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার ‘হাল’ ফিরেছে। সিগন্যাল চালু হয়েছে। তবে, অনেকেই তা মানছেন না বলে অভিযোগ। যত্রতত্র যাতে বাস না দাঁড়ায় সে জন্য উদ্যোগী হয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলিও। কিন্তু লরি ঢোকা সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায়নি। এ দিনের বৈঠকে তাই লরি ঢোকার প্রসঙ্গই ঘুরেফিরে আসে। |