তিন দিন ধরে টানা আগুন জ্বলছে অরুণাচলের দারিয়া পাহাড়ের জঙ্গলে। দাবানলের ধোঁয়ায় আপাতত পুরোটাই ঢাকা রাজধানী ইটানগরের আকাশ। বিঘ্নিত হেলিকপ্টার পরিষেবাও। তিন দিনেও আগুন না প্রশমিত হওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত ইটানগরবাসী। দাবানলের ব্যাপকতায় দিশাহারা ইটানগর অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষও। অরণ্যের প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষতি কতটা হয়েছে, তার কোনও সঠিক হিসেব এ মুহূর্তে নেই তাঁদের কাছে। পুলিশের অনুমান, আগুন লাগার পিছনে স্থানীয় অধিবাসীদের হাত রয়েছে। এই কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রাজনিবাস এলাকা থেকে দু’ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। |
কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন অরুণাচল রাজধানী ইটানগরের আকাশ। উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি। |
এত বড় অগ্নিকাণ্ডে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত রাজ্যপাল জে জে সিংহ। তিনি বলেন, “আগুনে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। শুধু বর্তমান সময় নয়, ভবিষ্যৎ পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উপরেও এর প্রভাব পড়বে।” আকাশ ঢাকা কালো ধোঁয়ায় হেলিকপ্টার চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। ওই অভয়ারণ্যের জলপ্রপাত, ইটানগর ও নাহারলাগুন এলাকার জলের প্রধান উৎস। আগুন লাগায়, জল সরবরাহও বিঘ্নিত হচ্ছে। দাবানল নেভানোর মতো পরিকাঠামো ছোট এই রাজ্যের হাতে নেই।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা স্থির করতে কাল মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসে। হাজির ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল রবীন্দ্র কুমার, ডিআইজি (পশ্চিম) রবীন হিবু, বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের অধিকর্তা ওয়াই ডব্লিউ রিংগু, জেলাশাসক ওনিত পায়াং, এসপি হিবু তামাং-সহ পুলিশ, প্রশাসন, বনবিভাগের পদস্থ কর্তারা। গড়া হয়েছে বিশেষ ‘টাস্ক ফোর্স’। কর্তাদের মতে, ঝুম চাষের বাড়বাড়ন্তের কারণে, পাহাড়ে বন-জঙ্গল কাটা হচ্ছে। জঙ্গল সাফ করতে আগুন লাগানোয় এই কাণ্ড। |