লোকালয়ে ঢুকে মৃত ২ বাইসন, জখম ৩ জন |
লোকালয়ে ঢুকে পড়া তিনটি বাইসনের গুঁতোয় দুটি চা বাগানের ৩ জন বাসিন্দা জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ ডুয়ার্সের চামুর্চি ও চুনাভাটি চা বাগানে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ, বনকর্মী ও এসএসবি-র জওয়ানদের চেষ্টায় প্রায় ৪ ঘণ্টার মাথায় ১টি বাইসন জঙ্গলে ঢুকে যায়। অন্য দুটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা হয়। গুলি লাগার পরে একটি বাইসন মারা যায়। অন্যটি ছেুাটাছুটির সময়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লুটিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটির মৃত্যু হয়। জলপাইগুড়ির ডিএফও (বন্যপ্রাণ) সুমিতা ঘটক বলেন, “যে ভাবে বাসিন্দারা বাইসনগুলিকে ঘিরে ধরে তা সামাল দিতে এস এস বি-র সাহায্য নিতে হয়। পাশাপাশি, জখমদের চিকিসার ব্যবস্থা করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।” বন দফতর সূত্রে খবর, সাতসকালে বাইসনের হানার পরে বাসিন্দারা লাঠিসোটা নিয়ে নেমে পড়েন। বাইসনগুলির উদ্দেশে ঢিল ছোঁড়া শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গেলেও জনতাকে সামাল দিতে হিমশিম খায়। পরে লাগোয়া ভুটান সীমান্তে পাহারায় থাকা এসএসবি জওয়ানদের সাহায্য নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে চুনাভাটি বাগানে গাছের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজনকে আক্রমণ করতে যায় একটি বাইসন। তিনি গাছে উঠে পড়েন। বাইসনটি সজোরে গাছে ধাক্কা মেরে লুটিয়ে পড়ে। সেটির মৃত্যু হয়। একটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়ার পর চাপড়ামারি বনাঞ্চলে নিয়ে যাবার পথে খুনিয়ার সামনে মারা যায়। তৃতীয় জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার সুভাষ বসু বলেন, লোকজনের তাড়াতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বাইসন গুলি অনেক কষ্টে মানুষজনকে সামাল দেওয়া গিয়েছে। বাগানের ম্যানেজার অম্লান দত্ত বলেন, “বাগানের মানুষজন শান্ত ছিলেন। বাইসন দুটি বাজারে ঢুকলে লোকজনের তাড়া খায়। যারা আহত হয়েছে তারা বাগান শ্রমিক নন।”
|
পরীক্ষার আগে মাইক বাজানোর অভিযোগ |
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন বইমেলায় তারস্বরে মাইক বাজানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ১০ মার্চ থেকে জামুড়িয়া থানা সংলগ্ন মাঠে তৃণমূল প্রভাবিত বিবেকানন্দ সোসাইটি আয়োজিত বইমেলা শুরু হয়েছে। সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্তের অভিযোগ, প্রতি দিন গভীর রাত পর্যন্ত মাইক বাজানো হচ্ছে। পুলিশের উপস্থিতিতে কী ভাবে তা সম্ভব জানি না। স্থানীয় বিজেপি নেতা সন্তোষ সিংহের কথায়, “পুলিশের উপস্থিতিতেই এমন ঘটলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কী লাভ!” মহকুমাশাসক (আসানসোল) সন্দীপ দত্ত জানান, কমিশনারেট চালুর পর থেকে মাইক বাজানোর অনুমতি দেয় পুলিশ কমিশনার। পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “মাইক বাজিয়ে এমন কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে কি না জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মেলার আয়োজক তৃণমূলের জামুড়িয়া ১ ব্লক সভাপতি পূর্ণশশী রায় দাবি করেন, যথাযথ বিধি মেনেই তারা সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছেন। তবে মাইক বাজানোর অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
|
নতুন অতিথি গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় |
গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি এল। কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের প্রাণী আদান-প্রদান প্রকল্পের অধীনেই আগমন এই নতুন অতিথিদের। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, পটনার সঞ্জয় গাঁধী জৈব উদ্যান থেকে তিনটি হনুমান, দু’টি শিয়াল, তিনটি সোনালি ফেজ্যান্ট গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় এসেছে। এর বদলে পটনা চিড়িয়াখানায় পাঠানো হল দু’টি চিতাবাঘ, দু’টি জংলি বেড়াল ও একটি লেপার্ড ক্যাট। অদুর ভবিষ্যতে রাঁচির ভগবান বিরশা জৈব উদ্যান থেকে মিউট সোয়ান ও হায়না, বিশাখাপত্তনমের ইন্দিরা গাঁধী জৈব উদ্যান থেকে বনেট ম্যাকাক ও রিং-নেক্ড ফেজ্যান্ট এবং রায়পুরের নন্দনবন থেকে আরও বেশ কিছু প্রাণী গুয়াহাটি আসতে চলেছে। ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত অসম রাজ্য চিড়িয়াখানায় বর্তমানে প্রায় ৬০০টি প্রাণী রয়েছে।
|
গ্রাম থেকে উদ্ধার হল কালো চিতাবাঘ বা ব্ল্যাক প্যান্থার। বন বিভাগ সূত্রে খবর, আজ সকালে শিবসাগরের নামটি মাউত গ্রামে কালো চিতাবাঘটিকে ঘুরতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা তাকে ঘিরে ফেলেন। একটি ঘরে কালো চিতাবাঘটিকে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে বনকর্মীরা গিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তাকে খাঁচায় পোরেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে কালো চিতাবাঘটিকে ফের অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।
|
জঙ্গলে গলিত অবস্থায় পাওয়া গেল মৃত একটি রয়্যাল বেঙ্গলের দেহ। গতকাল রাতে ওরাং-এর রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যানে পড়ে থাকতে দেখা যায় মৃতদেহটি। ডিএফও সুশীল দায়লা জানান, বাঘটির দেহ পুরো গলিত অবস্থায় মিলেছে। ময়না তদন্তে দেখা গিয়েছে, বাঘটির দাঁত নেই। সম্ভবত বয়সের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
|
গোয়ালঘরে আগুন লেগে ১১টি গবাদি পশুর মৃত্যু হল। অগ্নিকাণ্ডেগোয়ালঘরে রাখা একটি পাওয়ার টিলার ও একটি টেম্পোও পুড়েছে। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট থানার ডাকরা এলাকায়। |