জরুরি খরচ কী ভাবে সামাল দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে আধিকারিকদের কাছ থেকে সন্তোষজনক নির্দেশ না-পেলে ১ এপ্রিল থেকে দফতরের আর্থিক লেনদেনে যুক্ত থাকতে চান না রেঞ্জ অফিসাররা। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে রাজ্য রেঞ্জার্স ফোরামের এক বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি বন দফতর ১ এপ্রিল থেকে ট্রেজারির মাধ্যমে লেনদেনের নির্দেশ জারি করেছেন। রেঞ্জ অফিসারদের বক্তব্য, এই ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু হাতির হামলায় মৃতের পরিবারকে জরুরি ভিত্তিতে দেয় ২০ হাজার টাকা, জখম হাতির চিকিৎসার মতো জরুরি খরচ কী ভাবে সামাল দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে বন দফতরের কর্তারা কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি সুকনায় আয়োজিত এক বৈঠকে দফতরের কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রেজারি ব্যবস্থা লেনদেন শুরু হওয়ার পরে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদ মাধ্যমেও বন দফতরের সচিব এবং প্রধান মুখ্য বনপালেরা সে কথা জানিয়ে দেন। বনকর্তাদের ওই জবাবে সন্তুষ্ট নন রেঞ্জ অফিসাররা। এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রেঞ্জ অফিসাররা এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেবেন। ওই চিঠির প্রতিলিপি সমস্ত বনকর্তাকে পাঠানো হবে। পাশাপাশি, নিজের এলাকার ডিএফওদের চিঠি দিয়ে জরুরি খরচ কী ভাবে সামাল দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে পরামর্শ চাইবেন।
দার্জিলিং জেলার এক রেঞ্জ অফিসার বলেন, “ট্রেজারি ব্যবস্থায় লেনদেনে আপত্তি নেই। কিন্তু জঙ্গল পাহারা দিতে গিয়ে প্রতিদিন আমাদের যে সমস্ত সমস্যায় পড়তে হয় তার কী ভাবে মোকাবিলা হবে তা নিয়ে বনকর্তারা স্পষ্ট উত্তর দিচ্ছেন না। অথচ জখম হাতির চিকিৎসা থেকে জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ আমাদেরই সামাল দিতে হয়। নয়া ব্যবস্থায় কী ভাবে সেই সমস্যা মেটানো সম্ভব তার উত্তর না-পেলে দফতরের জরুরি ব্যয়ের আর্থিক দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়।” |