নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তৈরি বন্ধ করতে শিলিগুড়ির ৬ টি কারখানাকে নোটিস দিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। মঙ্গলবার পুর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে শিলিগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে যৌথ অভিযান চালান হয়। ওই সমস্ত কারখানায় নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ এবং তার উপকরণ তৈরি হচ্ছে দেখে তাদের নোটিস দিয়ে ওই সমস্ত সামগ্রী উৎপাদন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কারখানাগুলির মালিকপক্ষকে আগামী শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভায় বৈঠকে ডাকা হয়েছে। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তৈরি কোনও ভাবেই যে বরদাস্ত করা হবে না তা সাফ জানিয়ে দিতে চান পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, “৬ টি কারখানায় নিষিদ্ধ প্ল্যাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তৈরির বিষয়টি নজরে পড়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে তাদের নোটিস দিয়ে উৎপাদন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। শহরের ব্যবসায়ী সংগঠন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকদের নিয়ে আগামী শনিবার পুরসভায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আলোচনা চাইছিলেন। তবে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তৈরি যে মানা হবে না তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হবে।” সম্প্রতি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশে বিধান মার্কেট এলাকার ২ টি দোকান এবং শিলিগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের ২ টি কারখানায় প্লাস্টিকের নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ তৈরি এবং বিক্রির দায়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সমস্ত কারখানা এবং দোকান থেকে নিষিদ্ধ প্ল্যাস্টিকের ক্যারিব্যাগ আটক করা হয়েছিল। তার নমুনা এবং রিপোর্ট রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে পাঠায় শিলিগুড়ি শাখার আধিকারিকরা। এর পর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে অভিযুক্ত সংস্থার মালিকদের ডেকে অভিযোগের শুনানি হয়। দিন ১৫ আগে ওই কারখানা এবং দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অথচ অন্য কয়েকটি কারখানায় নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান ব্যবসায়ীদের একাংশই। পুরসভার তরফেও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানানো হয়। চোরাগোপ্তা নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তৈরি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এর পর এ দিন পুর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে যৌথ অভিযান চালায় পর্ষদ। যে সমস্ত কারখানার বিরুদ্ধে চুপিসারে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তৈরির প্রমাণ এ দিন মিলেছে তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে পুরসভায় বৈঠকে তা ঠিক হবে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। |