নিজস্ব সংবাদদাতা • শালতোড়া ও আরামবাগ |
বিএড পড়ুয়া এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার শালতোড়া অঞ্চলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সঞ্জীব মুলা (২৮)। তিনি আরামবাগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা। পড়াশোনা সূত্রে বছর খানেক ধরে থাকতেন শালতোড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শালতোড়া বিএড কলেজের ছাত্র ছিলেন সঞ্জীব। ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে তাঁর সিলিং ফ্যানে মাফলারের ফাঁস জড়ানো ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়না-তদন্ত করানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন সঞ্জীব।
কিন্তু কেন এই পথ বেছে নিলেন মেধাবী ছাত্রটি?
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন সঞ্জীব। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতেন না। কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি মুজিবর রহমান জানিয়েছেন, আর্থিক সমস্যা থাকায় বিনা খরচে সঞ্জীবের খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল কলেজেই। আরও নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হত। দোলের দিন তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়েওছিলেন সঞ্জীব। কিন্তু মাঝপথ থেকে ফিরে আসেন। তাঁর আর দুই রুমমেট চলে যান যে যার বাড়িতে।
সঞ্জীবের বাবা-মা ছোটবেলাতেই মারা যান। বড় হয়েছেন কাকা শঙ্কর মুলার সংসারে। তিনি বলেন, “ক’দিন আগে বাড়ি ফিরেছিল ও। কিন্তু এ বার আর ফিরতে চাইছিল না। মুখচোরা ছিল। বিশেষ কিছু বলত না। আমরা এক রকম জোর করেই ওকে বাঁকুড়ায় পাঠাই। কেন এ ভাবে মারা গেল, বুঝতে পারছি না।” |