এজেন্টের কাছ থেকে প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে কাটোয়ার এক চিট ফান্ড কর্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শ্যামাপদ দে। বাড়ি কাটোয়া শহরের ঘোষহাটে। স্থানীয় সার্কাস ময়দানের দিল্লি মার্কেটে তাঁর অফিস ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার কাটোয়া আদালতে তোলা হলে ধৃতকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতার সামসুল হুদা রোডে সংস্থার সদর দফতর বলে পুলিশ জেনেছে। পুলিশ জানায়, কাটোয়া থানার খাঁয়েরহাট গ্রামের সোলেমন শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামাপদবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোলেমন তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি ওই চিট ফান্ডের এজেন্ট ছিলেন। সাড়ে চার বছরে দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তুলত সংস্থাটি। নিয়মিত গ্রামের লোকের থেকে টাকা তুলতেন নির্দিষ্ট সময়ে সংস্থায় জমাও দিতেন তিনি। কিন্তু সোমবার তিনি জানতে পারেন, তাঁর জমা দেওয়া লক্ষাধিক টাকার হিসেব নেই। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে শ্যামাপদবাবু দাবি করেন, তিনি কোনও টাকাই জমা দেননি। এর পরেই তাঁরা অফিসের ভিতরে শ্যামাপদবাবুকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। মুর্শিদাবাদের লালগোলা ও ডোমকলেও ওই সংস্থার শাখা অফিস রয়েছে।
|
কেতুগ্রামে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বীরভূমের লাভপুর থেকে ধৃত দু’জনকে ১০ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠাল কাটোয়া আদালত। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ মার্চ ফরিদ শেখ ও নয়ন শেখ নামে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। মঙ্গলবার তাদের ফের আদালতে তোলা হয়। তাদের থেকে দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোমবার অপর দুই ধৃত নুর মহম্মদ ও সেন্টু শেখকে আদালতে পেশ করেও তাদের দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। |