রূপনারায়ণপুরের নিখোঁজ ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল মাইথনে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের মাইথন থানার গুডাপা ঘাট সংলগ্ন এলাকার বরাকর নদ থেকে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করেছে। পরিবারের লোকজন কৌশিক সরকার (১৫) নামের ওই ছাত্রের দেহ শনাক্ত করেন। মৃতদেহ আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল চিত্তরঞ্জনের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র কৌশিক। তার বাবা, পেশায় ব্যবসায়ী সুজিত সরকার পুলিশকে জানিয়েছিলেন, দোলের দিন সকালে কৌশিকের দুই সহপাঠী তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সে দিন ১৭ জন বন্ধুর সঙ্গে সালানপুর থানার বাথানবাড়ি এলাকায় বরাকর নদে স্নান করতে যায় কৌশিক। বিকেলে বাকিরা ফিরলেও কৌশিক ফেরেনি। সুজিতবাবু জানান, বিকেল পর্যন্ত ছেলে বাড়ি না ফেরায় তিনি খুঁজতে বেরোন। ছেলের বন্ধুদের চিত্তরঞ্জনের হিলটপ, মাইথন জলাধার সংলগ্ন এলাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও হদিস না মেলায় রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। |
এই জায়গা থেকেই মেলে কৌশিকের দেহ। |
শনিবার সকালে বাসিন্দারা রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান। বাথানবাড়ির কাছে বরাকর নদে জাল ফেলে পুলিশ। নিখোঁজ ছাত্রের মোবাইল ফোন ও একটি তাবিজও সেখান থেকে মেলে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। শনিবার রাত থেকে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। সোমবারও রূপনারায়ণপুরের কয়েকশো বাসিন্দা ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই ছাত্রকে খোঁজার ব্যাপারে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চায়নি। সোমবারই পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ছাত্রের দুই সহপাঠীকে গ্রেফতার করে বর্ধমানের জুভেনাইল আদালতে তোলা হয়েছে।
রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ওই অঞ্চলের কয়েকজন মৎসজীবী ও নৌকা চালক দেহটি জলে ভাসতে দেখেন। ওই এলাকাটি ঝাড়খণ্ডের মধ্যে পড়ায় মাইথন থানায় খবর দেন তাঁরা। সেখান থেকে খবর পাঠানো হয় সালানপুর থানায়। এর পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
|