|
|
|
|
|
|
|
সেখানে নোবেল লরিয়েটের ছড়াছড়ি
কৃষ্ণা বসু |
|
বালিগঞ্জের বাড়িতে থাকতাম বাবা-মা আর আমি। বাবাদের দিকে ছিল বড় পরিবার। মাতুলালয়ও বেশ বড়। রবিবার কাকারা আসতেন। আড্ডা ও তর্ক-বিতর্কে সকালগুলো জমজমাট থাকত। দফায় দফায় চা-এবং মিষ্টি। আলোচনা-তর্ক শেষে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লে শুরু হত গান। ছোট কাকা বসে পড়তেন অর্গান বাজাতে। বাড়িতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের চল ছিল। সবাই মিলে কোরাসে গান গাওয়া হত। মনে আছে, একটা বাচ্চা আসত। এক রবিবার সে ঢুকেই বাবাকে বলল, জ্যাঠামশাই, আমি রসগোল্লা খাব না। বাবা বললেন, তা অন্য কী খাবে বল? সে শুধুই বলে, রসগোল্লা খাব না। শেষে জানা গেল, তাকে বাড়িতে বলা হয়েছে, গিয়ে ঢুকেই ও রকম হ্যাংলার মতো রসগোল্লা খেতে চাও কেন? তাই সে এসেই ও কথা বলতে শুরু করেছে।
বাপের বাড়ি পূর্ববাংলায়। তাই ওখানকার রান্নাই হত। মা সাধারণ রান্নাই খুব ভাল রাঁধতেন। রান্নায় প্রচুর ধনেপাতা ও নারকেল কোরা থাকত।
বাবা-কাকাদের মনে হয়েছিল, আমাদের পড়াবার মতো ভাল স্কুল নাকি ভূ-ভারতে নেই। তাই বাড়িতেই পড়াশুনো। যা কিছু শিখেছি, সব বাড়ি থেকেই। রবিবার এলে বেশ ভাল লাগত। সবাই মিলে হইহই হত।
বাইরেও কোনও বন্ধুও ছিল না। বাবা ও কাকারাই ছিলেন বন্ধুর মতো। একটা কথা মনে পড়ছে। তখন আমার দশ-এগারো বছর বয়স। সেই বয়সেই সংবাদপত্রে রাজনীতির খবর পড়তাম। সে সময় ৪২-এর আন্দোলন শুরু হয়েছে। বাবা কাজে বেরোবেন। টাই বাঁধছেন। আমি খবরের কাগজ থেকে মুখ তুলে বললাম, খবরে লিখেছে, টাই পরে বেরোলে কেড়ে নেবে। বাবা বললেন, আমরা টাইটা পুরো খাদির। বাবা কাজে বেরিয়ে গেলেন, একটু পরেই দেখি ফিরে এলেন টাইবিহীন অবস্থায়।
আমার ফোটোগ্রাফির শখ ছিল। মাঝে মাঝে রবিবার ছবি তোলার জন্য বাবার সঙ্গে কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরেছি। ছোট কাকার শুটিং-এর শখ ছিল। একটা .২২ রাইফেল আমার নামে কেনা ছিল। তাঁর সঙ্গে মাঝে মাঝে বন্দুক ছুঁড়তে টালিগঞ্জের কোনও একটা জায়গায় যেতাম। কিন্তু রবিবার মূলত আড্ডার ছিল। গোপাল ঘোষ, অতুল বসুর মতো সে কালের নামকরা চিত্রশিল্পীরা অনেকে আমাদের বাড়ি আসতেন। ভাস্কর প্রদোষ দাশগুপ্ত আসতেন। বই শিল্পকলা আর গান নিয়ে জমাটি আড্ডা হত। স্কুল কলেজ জীবন অবধি এ রকমই চলেছে। |
|
আমার বিয়ের আগে থেকেই বসুপরিবারের সঙ্গে বাবা-কাকাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। কিন্তু বিয়ের কথা কেউ ভাবেনি। ঘটনাচক্রেই বিয়েটা হয়। তখন আমার শ্বশুর শাশুড়ি কেউ নেই। সুতরাং সিদ্ধান্ত আমার স্বামীকেই নিতে হয়েছিল। উনি রাজি হওয়ার পর বাবা জিগ্যেস করলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা। বললাম, আছে। কারণ ওঁরা বড়লোক, তাই মানাবে না। বাবা বললেন, শরৎচন্দ্র বসু (শ্বশুরমশাই) বড়লোক তো বটেই, কিন্তু অন্য ভাবে। তুমি যে রকম বলছ সে বড়লোক ওঁরা এখন নেই। বরং দেশের কাজে সব ব্যয় করে উল্টে ঋণের ভার রেখে গেছেন। আর শিশির সবে বিলেত থেকে ফিরেছে। কিছুই প্রায় নেই। আমার হবু স্বামী কপর্দকহীন শুনে ভীষণ খুশি হয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে গেলাম। বিয়ে হয়েছিল ত্রিপুরা ভবনে। বাবা ছিলেন বিধানসভার অন্যতম সচিব। ফলে সেই সময়ের রাজনীতিকরা অনেকে এসেছিলেন। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একটা মহাভারত উপহার দিয়েছিলেন।
বিয়ের পর উডর্বান পার্কের বসু বাড়িতে এলাম। ওখানে রবিবার সকালগুলো ডাক্তার বসু ব্যস্ত থাকতেন। সমাজকল্যাণমূলক কাজ হিসেবে নেতাজি ভবনে উনি বাচ্চাদের চিকিৎসা করতেন। তাই রবিবার বিকেলগুলো আমরা বেড়াতে যেতাম। সঙ্গী সেই ঐতিহাসিক ওয়ান্ডারার গাড়িটা, যেটা এখন নেতাজী ভবনে রয়েছে। পার্ক স্ট্রিটে যাওয়া হত। এখন ভাবলে অবাক লাগে যে পার্ক স্ট্রিট তখন বেড়াবার জায়গা ছিল। গাড়িটা পার্ক করে আমরা ফুটপাথে হাঁটতাম। ভাল ভাল সব দোকান ছিল। উইন্ডো শপিং চলত। মোড়ের কাছে পিপিং রেস্তোরাঁয় খাওয়া হত। তবে ওয়ান্ডারার গাড়িটা খুব ভাল অবস্থায় ছিল না। মাঝে মাঝেই বিকল হত। তখন ছেলে কোলে নিয়ে নিয়ে আমরা দু’জন গাড়িটা ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেতাম।
এর পর উনি রকফেলার ফেলোশিপ পেলেন। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে ফেলো হয়ে কাজ করতে গেলেন বস্টন মেডিক্যাল স্কুলে। তখন রবিবার অন্য রকম হয়ে গেল। চার্লস নদীর এ পাড়ে বস্টন। আমরা সেখানে থাকতাম। রবিবার ছুটি থাকলে চলে যেতাম নদীর ওপারে, কেমব্রিজে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির চত্বরে ঘুরে বেড়াতাম। হার্ভার্ড স্কোয়ারটা খুব মজার জায়গা। কেউ দাঁড়িয়ে গান গাইছেন। এক জন হেঁটে গেলেন। ডাক্তার বসু বললেন, উনি অমুক বছরের নোবেল লরিয়েট! নোবেল লরিয়েটরা সেখানে গড়াগড়ি যাচ্ছে।
দেশে ফিরে আসার পর আবার আগের রবিবারগুলো ফিরে এল। তখন কলেজে পড়াই। রবিবার ছুটির দিন। নেতাজির সহযোগীরা অনেকেই আসতেন আমাদের বাড়িতে। তাদের কাছে নেতাজির গল্প শুনেছি। পরবর্তী কালে যখন সাংসদ হই, তখন রবিবারটা হয়ে গেল ভয়ানক কাজের দিন। প্রতি শুক্রবার বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসতাম। শনি-রবি নিজের নির্বাচন কেন্দ্র দেখাশোনা করতাম। সোমবার ফের লোকসভার অধিবেশনে যোগ দিতাম। |
আমার প্রিয়
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ব্যক্তিত্ব: তারকনাথ সেন
(প্রেসিডেন্সি কলেজের
ইংরাজির প্রাক্তন অধ্যাপক)
পোশাক: বাংলার তাঁতের শাড়ি
খাবার: আম বেড়ানোর জায়গা: দার্জিলিং |
|
২০০০ সালে এক শনিবার ডাক্তার বসু হঠাৎ করে চলে গেলেন। পর দিন সকালে ওঁকে নেতাজি ভবনে নিয়ে যাওয়া হল। সেখান থেকে শোভাযাত্রা করে শশ্মান। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, মমতা সবাই শ্মশানে ছিলেন। ভাল লেগেছিল সকালে খবর দেখে আমার নির্বাচনী কেন্দ্রের অনেক সাধারণ মানুষ সেখানে এসেছিলেন। প্রমিতা মল্লিক আর আমার মেয়ে শর্মিলা গান গাইছিল। সকলে গলা মেলাচ্ছে। গান গাইতে গাইতেই সব কাজ শেষ হল।
এখনকার রবিবার খানিকটা আয়েশের। মাঝে মাঝে পুরনো নির্বাচনী কেন্দ্রে যাই। তা না হলে রবিবারটা চেষ্টা করি পড়াশুনো, লেখালিখি করতে। বিদেশে ছেলেমেয়ের কাছে গেলে রবিবার মানেই লং-ড্রাইভ। এক রবিবার গিয়েছিলাম কেনসল গ্রিন সমাধি ক্ষেত্রে। জানাই ছিল না ওখানে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সমাধি রয়েছে। দেখা হয়ে গেল।
|
সাক্ষাৎকার: রুমি গঙ্গোপাধ্যায়
ছবি: শুভ ভট্টাচার্য
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
প্রতি বার বাজেটের পরেই টের পাই, মানুষের দাম কমল আর জিনিসের দাম বাড়ল। এমন বাজেট কি কোনও দিন আসবে, যাতে মানুষের দাম বাড়বে? এ তো এমনই এক পুজো, শুধু আশা-ভরসা বিসর্জন!
পালি দাঁ। টাল
উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর পালা চুকল। এ বার কি তবে মরা হাতি লাখ টাকা করে বিক্রি হবে?
সৈয়ক রওনক আলি।পার্ক লেন
ভারতীয় নির্বাচকরা হারা টিম থেকে লক্ষ্মণকে বাদ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছেন। অতীতে সেট ব্যাটসম্যান হিসেবে পারফর্ম করেছেন বলে সাহস পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে কিন্তু তাঁরা সি পি এম-এর থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। তাঁরা কিন্তু শেঠ ব্যাটসম্যান লক্ষ্মণকে অনায়াসে বাদ দিয়ে দিয়েছেন।
তসলিমা খাতুন।রামগড়
অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দল যখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হারছিল, তখনও মনোজ তিওয়ারিকে বসিয়ে রাখা হল কেন?
পম্পি সাহা। ঘটকপুকুর
নির্বাক ছবি ‘দি আর্টিস্ট’ অস্কার পেল। মনে হচ্ছে, আমাদের নেতা-মন্ত্রীদের জন্য যদি একটা নির্বাক থাকার পুরস্কার চালু করা যেত, তা হলে দেশটার দারুণ উন্নতি হত। রাজ্যটারও।
অনুব্রত পত্রনবিশ। যাদবপুর
দিদি কি কলকাতাকে লন্ডন করতে গিয়ে ভুল করে আর্জেন্টিনা করে ফেললেন? সবই দেখছি সাদা-নীল।
সুমিত বসাক। হাওড়া
বর্ধমান হত্যাকাণ্ডের পর কলেজ স্কোয়্যারে কিছু গণতন্ত্রকামী মোমবাতি লাগাচ্ছিলেন। একটা পথশিশু এসে বলল, আমাকে মোমবাতি লাগাতে দেবে? শিশুর রাজনৈতিক সচেতনতা, প্রতিবাদের ইচ্ছা দেখে নেতারা মুগ্ধ। তাঁদের কল্পনায় সে তখন ভিখারি মায়ের শিশু, কলকাতার যিশু ইত্যাদি। সে গোটা পাঁচেক মোমবাতি লাগাল। তার পর সোজা বলল, ‘কাজ করে দিলাম, এ বার পয়সা দাও!’
বৈশালী বসু। হিন্দুস্তান পার্ক
মোমবাতি বিক্রেতা: বাবু, মোমবাতি নেবেন?
বাবু: না, আমার ইনভার্টার আছে।
মো বি: কবে লাগালেন?
বাবু: পাঁচ বছর আগে।
মো বি: গত বছর অবধি তো মোমবাতি নিতেন। নিন না, দুটো টাকা লাভ হয়।
বাবু: হ্যাঁ, তোমার দু’টাকা লাভ করাতে গিয়ে আমার বুদ্ধিজীবী মাসোহারাটা মারা যাক আর কী!
দিব্যেন্দু তালুকদার। শিলিগুড়ি |
|
|
স্বপন সোম |
‘ভবানীপুর মরসুমি ক্লাবের সঙ্গে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচ। মরসুমি ক্লাবের হয়ে উত্তমকুমার, ভূপেন হাজারিকা, শ্যামল মিত্র আর আমি। অন্য দিকে সত্যেন চাটুজ্জে, দেবেশ ঘোষরা। আমি তো ফুটবল-ক্রিকেট নিয়মিত খেলতাম। শ্যামলও। তা উত্তমের একটা থ্রু শ্যামল এত চমৎকার বাড়াল যে আমার বলটাকে জালে জড়িয়ে দিতে এতটুকু ভুল হয়নি’ রবীন্দ্রসদনে আধুনিক গানের এক অনুষ্ঠানে উইংসের পাশে বসে গল্প করে চলেছিলেন না, কোনও পেশাদার খেলোয়াড় নয়, আপাদমস্তক এক সুরসাধক রতু মুখোপাধ্যায়। খিদিরপুরের অভিজাত বাকুলিয়া হাউসের রত্নেশ্বর মুখোপাধ্যায়। হেমন্ত, মান্না, ধনঞ্জয়, প্রতিমা, শ্যামল, নির্মলা, মাধুরী, সুমন কল্যাণপুর, মুকেশের বহু বিখ্যাত গান তাঁর সুরে।
নানা অনুষ্ঠানে দেখা, কথাবার্তাও হত। দু’বছর আগে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে কথা বলতে ওঁর বাড়ি গেছি। নানান শিল্পীর
বিষয়েই কথা হল। যাঁদের গানে সুর করেছেন, যাঁদের করেননি সকলের সম্পর্কেই সশ্রদ্ধ তিনি। ‘বুঝলে, পাঁচের দশক, ধনঞ্জয়দার বাড়ির আড্ডায় নিয়মিত যাই আসি।
এক পুজোয় ধনঞ্জয়দা আমার মতো আনকোরা সুরকারের সুরে গাইতে রাজি হয়ে গেলেন। গীতিকার-বন্ধু কাম আত্মীয় পুলক ‘চামেলি মেলো না আঁখি’ সকলের নজরে পড়ল। হেমন্তদা গান করবেন। ‘বনতল ফুলে ফুলে’ শুনে এক কথায় রাজি, অন্য গান আর পছন্দ হয় না। শেষ পর্যন্ত ‘কি দেখি পাই না’ দু’টিই হিট্। মান্নাদা করলেন পুলকের কথায় ‘আবার হবে তো দেখা’, ‘হৃদয়ের গান শিখে’।
রতুদা বলে চললেন ‘মান্নাদার তুলনা হয় না। মুকেশ আমার সুরে গাইবেন। তা, কলকাতায় রেকর্ডিং ভেস্তে গেল মুকেশের উচ্চারণের জন্যে। পরে মুম্বইয়ে মুকেশকে বাংলা শিখিয়ে পড়িয়ে সে গান রেকর্ড করালেন মান্নাদা। প্রতিমা প্রথমটা আমার গান রেকর্ড করতে রাজি হচ্ছিলেন না। যা হোক, রেকর্ড করলেন। গান হিট ‘মন যে খুশি খুশি আজ’। বললাম, ‘এত হিট গান আপনার, অথচ সিনেমায় সুযোগই পেলেন না?’ রতুদা বললেন, ‘যা পেয়েছি তাই বা কম কী!’ |
|
|
এক বার বাকি শুধু, তবেই শ্রীস্তা
লিনসম হইবেন শ্রীযুক্ত ভ্লা
দিমির পুতিন তাই আহ্লাদে আ
টখানা হইয়াছেন আর আটকা
ন তাদের সকলকে যারা প্রতিবা
দ করে বিরোধিতায়, মিছিলেতে হাঁ
টে, তাই এ বার তব গলে ঘুঁটে মা
লাখানি লগ্ন হবে, নাই তো ক্ষমা |
|
|
|
উত্তরপ্রদেশে হাতি সাইকেল চাপা পড়ল।
কিন্তু তাতে কংগ্রেসের কোনও হাত নেই।
পল্টন গুহ, ময়নাগুড়ি |
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
নিজের পছন্দে বিয়ে করলাম এক হিন্দু ছেলেকে। আমার বাড়ির লোক বিয়ে মানল না, ফলে তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক থাকল না। শ্বশুরবাড়ির লোকরা নাকি ‘উদারমনস্ক’, ফলে তাঁরা কোনও ওজর-আপত্তি তুললেন না। কিন্তু তলায় তলায় একটা চাপা টেনশন চলতেই থাকল। বেশ কিছু আত্মীয় আমাদের বাড়ি আসা বন্ধ করে দিলেন। আমি আমার বরকে কথাটা বললে ও উড়িয়ে দিল। আমিও আর বেশি বাড়ালাম না, কারণ তা হলে মনে হতে পারে আমিই বেশি খুঁতখুঁত করছি। অবশ্য আমার নিজের শাশুড়ি আর ননদ আমাকে নিজের মতো করেই ভালবাসেন। এক দিন ওঁদের জোরাজুরিতেই এক আত্মীয়র বাড়িতে বিকেলবেলায় গেলাম। চা-জলখাবার দিল। কাজের মেয়ে কাপ-প্লেট নিয়েও গেল। বাথরুমে যাব বলে ভিতরে গিয়েছি, শুনছি বাড়ির কর্ত্রী চাপা গলায় মেয়েটিকে বলছেন, বউটা কিন্তু মুসলমান, ওর কাপটা আলাদা করে ধুয়ে রাখিস।
রুকসানা বেগম
বাঘাযতীন |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|