তৃণমূলের বহিষ্কৃতকে দলে টানল সিপিএম
র্থিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত দল থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে নিল সিপিএম। পার্টির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে যখন নানা কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় কেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে দলে নেওয়া হল তা নিয়ে ইতিমধ্যে পার্টির অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, নানা ধরণের দুর্নীতির অভিযোগে কয়েক মাস আগে ফালাকাটা ব্লকের ছোট শালকুমারের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আবুল হোসেনকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ফের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। লিখিত অভিযোগও দলের নেতাদের কাছে জমা পড়ে। এর পরে আবুলবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ছোট শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবনাথপুর এলাকায় সভা করে আবুল হোসেন-সহ তাঁর অনুগামীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সিপিএমের জোনাল সম্পাদক শ্যামলকলি বসু। জোনাল সম্পাদক বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের ভূমিকায় মানুষ খুশি নন। তৃণমূল নেতাদের কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ২৫০ জন তৃণমূল কর্মী সিপিএমে যোগ দিয়েছেন।” দুর্নীতির অভিযোগের প্রশ্নে শ্যামলবাবুর যুক্তি, “উনি কী ধরণের দুর্নীতিতে যুক্ত তা কেউ জানেন না। তৃণমূল নেতারাও তো স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। সব বানানো কথা। তৃণমূল সরকারের ভূমিকায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে তিনি সিপিএমে যোগ দিয়েছেন।” এই ঘটনার পর সিপিএম-এর অন্দরেই নানা, প্রশ্ন ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই ভাবে আবুল হোসেনকে দলে নেওয়া ঠিক হয়নি বলে পরিস্কার জানিয়েছেন দলের জলপাইগুড়ি জেলা নেতা নিতাই কৃষ্ণ পাল। তিনি বলেন, “যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার উপরে উনি বহিষ্কৃত। এই ধরণের নেতার সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ না করে দলে নেওয়া ঠিক কাজ হয়নি এতে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে না।” স্থানীয় কয়েক জন সিপিএম নেতা জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অনেকে দল ভারি করতে চাইছেন। কিন্তু এতে ফের বেনোজল ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার নেতাদের বিষয়টি দেখা দরকার।আর যে নেতাকে নিয়ে এত আলোচনা শুরু হয়েছে সেই আবুল হোসেন বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তৃণমূলের খারাপ সময়ে দল করেছি। আজ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর আমাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এলাকার লোক তা মেনে নেবেন না। দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।” সিপিএমের ওই নেতার যোগ দেওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন ফালাকাটা ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল ভদ্র। তিনি বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তা খতিয়ে দেখে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। এখন তিনি কোথায় যাবেন, কোন দল করবেন তা দেখার দরকার নেই। ওঁকে নিয়ে ভাবছি না। সিপিএমে যোগদানকারী তাঁর অনুগামীর সংখ্যা যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.