|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
কোন চেতনার সুখে |
বারীন মজুমদার |
মানব জীবনের শুরু থেকে শেষ ‘মন সখি’র উপাখ্যান, যা অনুষ্ঠিত হল বিড়লা সভাঘরে। প্রযোজনায় ‘প্রয়াস’ এবং আলেখ্য রচনায় সংঘমিত্রা চৌধুরী। ‘মন’ দিয়ে কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত, লোকগান এ সবের সঙ্গে নাচের মিশ্রণে যে অনুষ্ঠানটি নিবেদিত হল তাতে ‘মন সখি’র ভাবনা পরিপূর্ণ হল না। কথিত আছে ‘দেহ মন এক হয়ে যায় কোন চেতনার সুখে’ সেই চেতনাই বাধা দিল সম্পূর্ণ আনন্দপ্রাপ্তিতে। ব্যতিক্রমী দুই শিল্পী রায়া ভট্টাচার্য ও সিদ্ধার্থ (সিধু)- র জন্যই অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ অনুষ্ঠানের তুলনায় অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। এই দুই শিল্পী ছিলেন আলেখ্যটির পাঠ্যাংশে। রায়া অত্যন্ত সাবলীলতার সঙ্গে গ্রন্থনার অংশটি পাঠ করেছেন। আবার ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ বা ‘ঝুলন’ কবিতা দু’টির আবৃত্তিতে কোন মেলোড্রামাকে প্রশ্রয় না দিয়েও শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে নেন। সিধু নিজে গায়কও। এদিন তাঁকে পাওয়া গেল প্রাণবন্ত ভাষ্যকার রূপে। ‘আমার মন কেমন করে’, ‘আমার মন মানে না’ প্রভৃতি গানগুলি সংযুক্ত হয়েছে ‘মন সখি’তে। সঙ্গীতাংশে চন্দ্রাবলী রুদ্রদত্ত পরিচ্ছন্নই গেয়েছেন। শুভাশিস মজুমদার, দীপাবলি রুদ্ররা গড়পড়তার ঊর্দ্ধে উঠতে পারেন নি। আরও চর্চার প্রয়োজন। শক্তি রায়চৌধুরীর কণ্ঠ ভাল। প্রথম পর্বে নিবেদিত নৃত্যগীতি আলেখ্য ‘শেডস অফ লাভ’। শকুন্তলা দুষ্মন্তের ভালবাসা ও রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদার গল্পের অংশবিশেষ নিয়ে সফল গ্রন্থনা। নৃত্য পরিচালক অভিরূপ সেনগুপ্ত।
|
জ্বেলে দেবো প্রেমের বাতি |
পিনাকী চৌধুরী |
সম্প্রতি মধুসূদন মঞ্চে ‘সমারোহ’র অনুষ্ঠানে প্রথমেই অচিন মুখোপাধ্যায় শোনালেন রবীন্দ্রসঙ্গীত। ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে’ শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। পরের শিল্পী সুছন্দা ঘোষ। তাঁর কণ্ঠে ‘বাদল দিনের’ গানটি মন কেড়ে নেয়। শ্রাবণী সেনের ‘ছায়া ঘনাইছে’ শ্রোতাদের বাড়তি পাওনা। অনুশীলা বসুর ‘জ্বেলে দেবো’ মন্দ নয়। তবে হতাশ করেছেন অমিতেশ চন্দ ‘নীল অঞ্জন ঘন’ গানটিতে। তবে মালিয়া সেনগুপ্তের ‘আমার নিশীথ রাতের বাদল ধারা’ গানটি শ্রোতাদের প্রশংসা পেয়েছে। ভাল লাগে ঈশিতা দাশ অধিকারীর কণ্ঠে আবৃত্তি পরিবেশন।
|
দর্শকের কৌতূহল |
পিনাকী চৌধুরী |
পরিচিত ভরতনাট্যমের এক অচেনা রূপ দেখা গেল অনন্তরা লাইভে। ভরতনাট্যম শিল্পী শোভনার পায়ে পায়ে। শোভনার কলার্পন গ্রুপের প্রতিটি নৃত্যে যে মুদ্রাগুলি ফুটে উঠেছিল তা মনে রাখার মতো। বিভিন্ন সঙ্গীতের ব্যবহারে তা আরও মনোরম হয়ে উঠেছিল। পরের বর্ণম পর্বে ছিল কালীর বন্দনা ও সুফি সঙ্গীত, রাধা-কৃষ্ণ পর্ব এবং দশাবতার। চমক ছিল শেষে। যেখানে বাখের সিম্ফনি এবং ভরতনাট্যম খুব সুন্দর ভাবে মিশিয়েছেন শোভনা।
|
ছবি: উৎপল সরকার |
|
|
|
|
|