|
|
|
|
মিড-ডে চালু হয়নি ঘাটালের স্কুলে, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
স্কুলের একাধিক কক্ষে তালা বন্দি অবস্থায় মজুত রয়েছে কয়েক কুইন্টাল চাল। বরাদ্দ টাকাও স্কুলে এসে পড়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও মিড-ডে মিল থেকে বঞ্চিত ঘাটাল শহরের বসন্ত কুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই সরকারি এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে প্রায় হাজার খানেক ছাত্রীকে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অভিযোগ, মিড-ডে মিল চালুর জন্য একাধিক বার স্কুলের প্রধানশিক্ষিকাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দরবার করা হয়েছে প্রশাসনের কাছেও। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা বীনা মান্না অবশ্য বলেন, “রান্না করার জন্য স্কুলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী পাঠায়নি পুরসভা। বহু দিন আগে থেকেই চাল স্কুলে মজুত রয়েছে। তার বেশিরভাগ নষ্টও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রান্না করার লোক না পেলে কী করব?” একই বক্তব্য স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক প্রণব হড়েরও।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ঘাটাল মহকুমার ৯৫ শতাংশের বেশি স্কুলে মিড-ডে মিল প্রকল্প চলছে। তাতে স্কুলছুটের সংখ্যাও অনেক কমেছে। কিন্তু ঘাটাল শহরে এক মাত্র বালিকা বিদ্যালয়টিতে মিড-ডে মিল চালু না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে শহরে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, মিড-ডে মিল রান্নার কাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়োগ করার জন্য দু’বছরের বেশি সময় ধরে অনুরোধ জানানো হচ্ছে পুরসভাকে। এমনকী ঘাটালের মহকুমাশাসক, জেলাশাসক, জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছেও একই আবেদন জানানো হয়েছে। কোনও পক্ষ থেকেই সাড়া মেলেনি। যদিও জেলা স্কুল পরিদর্শক সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “আমার বিষয়টি জানা নেই। কেন ওই স্কুলে এখনও মিড-ডে মিল চালু হয়নি, খোঁজ নিয়ে দেখছি।” ঘাটালের আগের পুরবোর্ডের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীকৃষ্ণ শীলের আবার দাবি, “ওই স্কুলে বহু বার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাঠিয়েছি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছেন।” তবে, ঘাটাল পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান জগন্নাথ গোস্বামীর আশ্বাস, “ওই স্কুলে দ্রুত মিড-ডে মিল চালু করার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাঠানো হবে।” |
|
|
|
|
|