|
|
|
|
১৯টি রাস্তা পাকা করার উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় চলতি আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৯টি রাস্তা পাকা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্লকে মোট ১০৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৬৭ কোটি টাকা। চলতি মার্চ মাসের মধ্যেই ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ান জানান, মার্চ মাসের মধ্যেই পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা রাস্তা তৈরির কাজে গত কয়েক বছর ধরেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের অবশ্য দাবি, এই সব কাজের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চনা করত পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার। চলতি বছর জেলার ১৯টি রাস্তা পাকা করার জন্য তৃণমূলের রাজ্য সরকার অনুমোদন দেওয়ায় ফের কাজে গতি আসবে বলে দাবি জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের।
জেলা পরিষদ ও রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ১৯টি রাস্তা গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা হচ্ছে, তার মধ্যে তিনটি করে রয়েছে নন্দীগ্রাম ১ ও চণ্ডীপুর ব্লকে। রামনগর ১, এগরা ১ ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ২টি করে রাস্তা পাকা করার অনুমোদন মিলেছে। এ ছাড়াও কাঁথি ১, ভগবানপুর ১, খেজুরি ২, ময়না, রামনগর ২, পাঁশকুড়া ২ ও ভগবানপুর ২ ব্লকের একটি করে রাস্তা পাকা করার অনুমোদন মিলেছে। এগুলির মধ্যে বড় রাস্তা হল রামনগর ২ ব্লকের নারানদিয়া থেকে ছোটপদমপুর (১৪.৬৫ কিলোমিটার), চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর থেকে যাদবমিদ্যাচক (৯.৫০ কিলোমিটার), শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সোয়াদিঘি থেকে হোগলবেড়িয়া (৯.৬০ কিলোমিটার), চরচন্দ্রামেড় থেকে শান্তিপুর (৮.২০ কিলোমিটার), ভগবানপুর ১ ব্লকের কলাবেড়িয়া থেকে কুলবেড়িয়া (৮.২৫ কিলোমিটার) ও নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বাসুলিচক থেকে মনুচক (৬.৮৫ কিলোমিটার)। এ ছাড়াও নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের নন্দীগ্রাম থেকে কেন্দেমারিচর (৫.৫০ কিলোমিটার), গড়চক্রবেড়িয়া থেকে দক্ষিণ জালপাই সপ্তম খণ্ড (৪.০৫ কিলোমিটার) রাস্তাও পাকা করার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে চলতি বছর জেলার মাত্র ৮টি রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারীর হস্তক্ষেপে আরও ১১টি রাস্তা যুক্ত হয়ে মোট ১৯টি রাস্তা পাকা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “আগামী আর্থিক বছরে জেলার আরও প্রায় ২০০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|