|
|
|
|
সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে আহত ৮ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একশো দিনের কাজ ঘিরে কেশিয়াড়িতে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ৮ জন। দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তবে পুলিশি নজরদারি রয়েছে।”
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জমি সমান করার কাজ শুরু হয়েছিল কেশিয়াড়ি ব্লকের বাঘাস্তীর দীপা গ্রামে। বেশ কয়েকজন শ্রমিক এই কাজ করছিলেন। কাজ চলাকালীন সেখানে উপস্থিত হন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তাঁদের অভিযোগ, একশো দিনের কাজে শুধুমাত্র সিপিএম সমর্থকদেরই নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের সমর্থকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এই অভিযোগ নিয়ে দু’পক্ষে বচসা শুরু হয়। পরে সংঘর্ষ বাধে। আহত সকলকেই প্রথমে কেশিয়াড়ি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নিতাই সরেণ ও ঝাড়েশ্বর পাত্র নামে দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। ফের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। |
|
মেদিনীপুর মেডিক্যালে আহত গ্রামবাসী। নিজস্ব চিত্র। |
প্রসঙ্গত, কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি সিপিএমের দখলে রয়েছে। আবার এই বিধানসভা এলাকাও সিপিএমের দখলে। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন কাজ পায়নি দলীয় সমর্থকেরা তা জানতে যেতেই তাঁদের উপর কোদাল-টাঙি নিয়ে হামলা করে সিপিএমের লোকজন। সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা গায়ের জোরে কাজ বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। সিপিএমের কেশিয়াড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক ভবানী গিরি বলেন, “পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ করছিলেন। তৃণমূলের লোকজন তা বন্ধ করার চেষ্টা করে।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের বক্তব্য, “শুরুতে সিপিএমের কর্মীরাই হামলা করেছেন। একশো দিনের কাজ গরিব মানুষ পাবেন। সেখানে কে তৃণমূল করেন, কে সিপিএম তা দেখা অনুচিত। এ দিন কেশিয়াড়িতে শুধু সিপিএম সমর্থকদেরই কাজে নেওয়া হয়েছিল।” এই অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক বিরাম মাণ্ডি বলেন, “গ্রামবাসীরা কাজ করছিলেন। এখানে রাজনৈতিক দল বিভাজনের প্রশ্নই আসে না। যাঁদের জবকার্ড রয়েছে, তাঁরাই কাজ পাচ্ছেন।” |
|
|
|
|
|