১৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ইডেন (২০০১): ‘সেন্ট অব আ উওম্যান’-এ ক্রিস ও’ডনেল, ‘সাগর’-এর ঋষি কপূর বা ‘আনন্দ’-এর অমিতাভ। মহাকাব্যের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যাওয়া একটা পারফরম্যান্স, কিন্তু যাকে ছাড়া মহাকাব্যটা হত না।
২৩৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া, অ্যাডিলেড (২০০৩): ‘দিওয়ার’-এর অমিতাভ। উত্তমের ‘সপ্তপদী’ বা ‘সন্ন্যাসী রাজা’। কঠিন পরিস্থিতিতে একটা লম্বা কঠিন লড়াই। যেখানে আত্মবিশ্বাস আর ঔদ্ধত্য থেকে এসেছে দলের মোক্ষ।
৮১ আর ৬৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জামাইকা (২০০৬): ‘সত্য’-র মনোজ বাজপেয়ী বা ‘ঝিন্দের বন্দী’-তে সৌমিত্র। কিংবা ‘দ্রোহকাল’-এর আশিস বিদ্যার্থী বা ‘মিস্টিক রিভার’-এর টিম রবিন্স। কোনওটাই সেঞ্চুরি নয়। কাজেই মুখ্য চরিত্র নয়। কিন্তু ওই দুটো ইনিংস ছাড়া ম্যাচটা সম্পূর্ণ হত না। সাবাইনা পার্কের কুখ্যাত অনিশ্চিত উইকেটের কথা মনে রাখলে একই সঙ্গে মায়াবী এবং কার্যকর। |
১৪৮ বনাম ইংল্যান্ড, হেডিংলে (২০০২): ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর টম হ্যাঙ্কস। ‘স্পর্শ’-এর নাসিরুদ্দিন শাহ। ‘মাই লেফ্ট ফুট’-এর ড্যানিয়েল ডে লিউয়িস। ‘ইকবাল’-এর শ্রেয়স তলপড়ে। ঘূর্ণিঝড়ে একটা সুতোয় বাঁধা ছোট্ট ঘণ্টা যে ভাবে পাক খায়, সে ভাবে সুইং করছিল বল। যে কোনও মুহূর্তে মৃত্যু অনিবার্য। তুমুল প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়ে বেঁচে থাকা।
১৪৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, জোহানেসবার্গ (১৯৯৭): ‘শক্তি’-র অমিতাভ বচ্চন যখন দিলীপ কুমারের মুখোমুখি হচ্ছে। ‘হিট’-এ আল পাচিনো আর রবার্ট ডি’নিরো-র সংঘাত। অথবা ‘অপরিচিত’-এ নেতিবাচক ভূমিকায় উত্তমকুমার লড়ে নিচ্ছে লেখকের সহানুভূতি পাওয়া সৌমিত্রের সঙ্গে। সারাক্ষণই অ্যালান ডোনাল্ড বনাম দ্রাবিড়। ডোনাল্ডের দিকে আবার পোলক, ক্লুজনার, ম্যাকমিলান। |