|
|
|
|
পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু দম্পতির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দোলের পরের দিনই বাবা-মাকে হারাল বেলুড়ের সৌরভ ও সুমনা। শুক্রবার দিঘা থেকে কলকাতা ফেরার পথে দুর্ঘটনায় তাদের বাবা শম্ভু মণ্ডল ও মা নমিতা মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে। মাসি, মেসো এবং মামা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
বেলুড়ের লালাবাবু সায়ার রোডের বাসিন্দা শম্ভু মণ্ডলের বয়স ৪৮ বছর। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। নমিতাদেবীর বয়স ৩৮ বছর বয়স। শম্ভুবাবুর ছেলে সৌরভ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মেয়ে সুমনা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে খবর, দোল উপলক্ষে তাঁর শালি, ভগ্নীপতি ও বড় শালা বেড়াতে এসেছিলেন। এঁরা বালির দুর্গাপুরের সাহেব বাগানের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার শম্ভুবাবু নিজের গাড়িতে স্ত্রী, বড় শালা, শালি ও ভগ্নীপতিকে নিয়ে মন্দারমণি ও দিঘা ঘুরতে যান। শুক্রবার তাঁদের ফেরার কথা ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দিঘা থেকে কয়েক কিলেমিটার দূরে খেজুড়ি থানার ঠাকুরনগর এলাকায়। দিঘা-কলকাতা রাস্তা ধরে গাড়িটি কলকাতার দিকে আসার সময়ে ঠাকুরনগরের কাছে আচমকাই সামনের বাঁদিকের চাকাটি ফেটে যায়। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাঁদেরকে উদ্ধার করে বাজকুলের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শম্ভুবাবু ও তাঁর স্ত্রী নমিতাদেবীকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালেই ভর্তি।
বেলুড়ের স্থানীয় বাসিন্দা বাদল ভট্টাচার্য বলেন, “কাল দুপুরেই ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দোলের পরে ঘুরতে যাচ্ছিস কেন জিজ্ঞাসা করায় শম্ভু জানায়, আত্মীয়েরা এসেছেন। এঁদের নিয়ে ঘুরে শুক্রবারই চলে আসব।”
এ দিন বিকেলে শম্ভুবাবুর বেলুড়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, পাড়া শোকস্তব্ধ। মোড়ে মোড়ে জটলা। মেয়ে সুমনা অবশ্য বাবা-মার মৃত্যুসংবাদ জানে না। কারণ, প্রতিবেশীরা কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না। দোতলার বারান্দায় বসে রয়েছে সুমনা। সবাই কেন বাবা-মার খোঁজ নিচ্ছেন তা বারবার জানতে চাইছে। এক প্রতিবেশী গোকুলচন্দ্র বণিক বলেন, “আজ বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বালি থানার পুলিশ এসে আমাদের দুর্ঘটনার খবর দেয়। সুমনাকে শুধু বলেছি বাবা-মার দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সৌরভ এক বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে।” |
|
|
|
|
|