|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন... |
|
র্যাম্পের রান্নাঘরে |
দিল্লি ফ্যাশন উইক। গ্ল্যামারের বিস্ফোরণ। আর পেছনে?
সারাক্ষণ দশে-দশ স্কোর করার টেনশন। ঘুরে এসে লিখছেন শতরূপা বসু |
‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন, দ্য শো ইজ অ্যাবাউট টু বিগিন...’
১,১০,০০০ স্কোয়্যার-ফুট কাঁপিয়ে গমগমে প্রগতি ময়দান।
এবার সুপার-ফাস্ট ফরওয়ার্ড। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে থাকা শান্ত স্টিলেটোর গায়ে, থুড়ি, হিল্-এ পাগলা হাওয়া। বুট্স। হাই-হিল্স। মিনি-স্কার্ট। পালকওয়ালা টুপি সামলাতে সামলাতে ছুট। দিল্লির ফেব্রুয়ারি। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা।
আবার। ‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন...’
থার্ড কল-এ র্যাম্পে ঢোকার গেট-এ দিল্লির এবং গোটা দেশের ‘মোস্ট স্টাইলিশ’-দের বাঁধ-ভাঙা ভিড়। উপচে পড়ছে সারা দেশের মিডিয়া।
ফ্যাশনের দুগ্গাপুজো। উইল্স লাইফস্টাইল ইন্ডিয়া ফ্যাশন উইক, অটাম-উইন্টার ২০১২। সব মিলিয়ে খরচ মোটামুটি ১০ কোটি। যার জোগান দিল ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।
গ্ল্যামারের স্বর্গরাজ্যে হাজির বিলাস দুনিয়ার সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞীরা। শ্রেষ্ঠ ডিজাইনাররা। জে জে ভালায়া। তরুণ তাহিলিয়ানি। রোহিত বাল। রিতু বেরি। ভিন্নার্থে ফ্যাশন দুনিয়ার অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, রেখা, করিনারা। তাঁদের সঙ্গে আছেন কলকাতার ডিজাইনারদ্বয় দেব-নীল। তা ছাড়া কল্লোল দত্ত। চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরা।
ডিজাইনার সংখ্যা ১৩৮।
|
কবিতা ভারতীয়ার
কালেকশন থেকে |
এ তো গেল পর্দার সামনের কথা।
আর পর্দে কে পিছে?
উঁকি মেরে...ওরে বাবা! ছুটোছুটিতে যে কোনও সময় চিঁড়ে-চ্যাপ্টা হওয়ার জোগাড়। কিন্তু পুরোটাই চলছে নিঃশব্দে। অসাধারণ পেশাদারিত্বে।
এরই মধ্যে র্যাম্পের পাশে চুপটি করে দাঁড়িয়ে এক খুব চেনা সেলিব্রিটি। জ্বলজ্বলে মুখে চাপা উদ্বেগ।
‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ গোবিন্দ?
না।
এক সম্পূর্ণ অন্য গোবিন্দ।
পর্দার ‘লাউড’ নায়কের সঙ্গে রক্ত-মাংসের মানুষটার আকাশ-পাতাল তফাত। অত্যন্ত মার্জিত। সাংঘাতিক সুপুরুষ! এবং অসম্ভব টেনস্ড এক বাবা। তাঁর মেয়ে নম্রতা যে এই প্রথম র্যাম্পে হাঁটবেন। স্বভাবতই টেনশনে কন্যা। রিহার্সালে বার বার এগিয়ে-পিছিয়ে র্যাম্পে হাঁটছেন। নিজের নির্দিষ্ট আঁক মেনে। তার পরই দৌড়ে দৌড়ে মনিটরে গিয়ে দেখছেন ঠিক হচ্ছে কি না।
আর এই সব কিছুর মধ্যে ছায়ার মতো সঙ্গী তাঁর বাবা।
বার বার নিজের হাতে নম্রতার চুল ঠিক করে দিচ্ছেন। মেয়ের হাঁটা শেষ হলেই মনিটরে চোখ রাখছেন। খুশিতে ডগমগ। ভাবটা এই, ‘দেখুন দেখুন, আমার মেয়ে কী সুন্দর হাঁটল।’
“উনি যে কী বিনয়ী, ভাবতে পারবেন না,” বলছিলেন কোরিয়োগ্রাফার বিদ্যুন সিংহ।
তারপর ছিলেন লিয়েন্ডার পেজ। মানুষ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এক বিশেষ শো’য়ে হাঁটলেন তিনিও। লিয়েন্ডারের কথা বলতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত পুজন কপুর শর্মা। শো-এর এক ‘ব্যাকস্টেজ’ ম্যানেজার।
ছোটবেলায় লিয়েন্ডারের বাবা ভেস পেজ ছিলেন পুজনের ডাক্তার। “তখনও লিয়েন্ডার আজকের টেনিস তারকা হননি।” আর আজ? “ওঁর মতো নম্র, ভাল মানুষ দেখিনি। আমি তো কিছু জিজ্ঞেস না করেই ওঁর ঘরে ঢুকে পড়তাম। অন্য সেলিব্রিটিদের বেলায় যেটা ভাবাই যায় না। আমাকে বলেছিলেন শো শুরুর ১০ মিনিট আগে জানাতে। ওইটুকু সময়ের মধ্যেই কিন্তু রেডি হয়ে গিয়েছিলেন। কোনও ধানাই-পানাই নেই। আর র্যাম্পে মানুষ পাচারকারীর বিরুদ্ধে এত সুন্দর বললেন, আমার তো চোখে জলই এসে গিয়েছিল,” বলছেন পুজন।
|
ঝকঝকে |
র্যাম্পের পেছনে, টুকরো সুতির কাপড় দিয়ে ঘেরা কয়েকটা ঘর। আটপৌরে নাম মেক-আপ রুম। বা চেঞ্জিং রুম। বা লাঞ্চ রুম। তাতেই দিনে প্রায় ২০ ঘণ্টা কাটালেন সাত কোরিওগ্রাফার। ৪৮ জন সুপারমডেল। ৯০ জন মেক-আপ আর্টিস্ট। তিনজন ব্যাকস্টেজ ম্যানেজার। টানা পাঁচ দিন। ফেব্রুয়ারি ১৫ থেকে ১৯।
এই সৌন্দর্যের মহাযজ্ঞের ‘আসল’ কারিগররা। ফ্যাশনের জাঁকজমকওয়ালা বিশাল জাহাজের মাঝি-মাল্লা। যাঁরা না থাকলে জাহাজের ভরাডুবি নিশ্চিত।
ফাঁকা র্যাম্পে তখন চলছে শেষ মুহূর্তের রিহার্সাল।
“হচ্ছে, না, হচ্ছে না। লক্ষ্মী, অত তাড়াতাড়ি হেঁটো না,” চেঁচাচ্ছেন রূপালি সুরি। আর এক ‘ব্যাকস্টেজ’ ম্যানেজার। লক্ষ্মী মানে, হিলহিলে সুন্দরী সুপারমডেল লক্ষ্মী রাণা। রূপালির ডাক শুনে থমকালেন। “আমি কি তাহলে এ দিক দিয়ে হাঁটব?” যে লক্ষ্মী তাবড় তাবড় ডিজাইনারদের লক্ষ টাকার পোশাক পরে অনায়াস লাস্যে হেঁটে যান র্যাম্পে, এখানে তিনি বাধ্য ছাত্রী।
ডিজাইনার, কোরিওগ্রাফার, মডেল, মেক-আপ আর্টিস্টএঁদের সবার মধ্যে যোগসূত্র এই ম্যানেজাররা। শো কাঁটায় কাঁটায় শুরু করা, মডেলরা ঠিক সময় খাচ্ছে কি না, মেক-আপে বসছে কি না, অযথা সময় নষ্ট করছে কি না, মডেলদের পোশাক ঠিকঠাক সময় ইস্তিরি হয়ে এল কি না, র্যাম্পে কার পরে কোন মডেল ঢ়ুকবে, কতক্ষণই বা র্যাম্পে থাকবে - এই এত্ত কিছুর দায়িত্ব এঁরা সামলাচ্ছেন ঘড়ির কাঁটা ধরে। তার মধ্যে আছে ডিজাইনারদের নানা উদ্ভট কাণ্ডকারখানা সামাল দেওয়াও।
যেমন?
“এক বার ডিজাইনার রাজেশ প্রতাপ সিংহ-র পাত্তা পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানা গেল বাথরুমে ঘাপটি মেরে বসে আছেন! ঠেলে তাঁকে র্যাম্পে পাঠাতে হল। বুঝুন, এত বড় মাপের ডিজাইনার হওয়া সত্ত্বেও কী টেনশন,” হাসতে হাসতে বলছিলেন বিদ্যুন।
এই চূড়ান্ত ব্যস্ততার প্রস্তুতি শুরু হয় অবশ্য বেশ কয়েক মাস আগে থেকে। ‘ব্যাকস্টেজ’ ম্যানেজারদের কাজ শুরু মাস তিনেক আগে। মেক আপ আর্টিস্টদের প্রায় দিন ২০ আগে।
“এত ব্যস্ততা যাচ্ছে যে এখনও জানি না বাথরুমটা ঠিক কোথায়। খেতেই বা যাব ঠিক কোন জায়গায়?” বলছিলেন রূপালি।
অন্যদিকে পূজন ছুটছেন এক ঘর থেকে সে ঘর। চোখে-মুখে ফাইনাল পরীক্ষার উৎকণ্ঠা। মেক আপ শেষ হল? আরে, টিনু (ভার্গিস, সুপারমডেল) গেল কোথায়? মিডিয়া ঢুকে পড়েছে। আর সময় দেওয়া যাবে না কিন্তু...সমানে তাড়া মারছেন। “আমি পুরোপুরি রেডি নই,” কোনও এক সুপারমডেলের গলা। “আই ডোন্ট কেয়ার। আমি শুরু করে দিচ্ছি,” ধমক পুজনের। সুপারমডেলদের নিয়ে সে রকম বিশেষ ঝামেলা হয় না, বলছেন তিনি। “কারণ তারা সময়মতো আসে। অত্যন্ত পেশাদার”।
|
|
|
দেব আর নীল-এর ‘ মাই অ্যালিস
ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ কালেকশন |
চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরার ‘স্যাফায়ার’-এর চমক |
|
তা হলে সমস্যাটা কাদের নিয়ে হয়?
সেলিব্রিটিদের নিয়ে। তাঁরা সময়মতো না এলেই পুরো ব্যাপারটা যায় পিছিয়ে। তখন সামাল দিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি। তাতে মেক-আপে, পোশাকে গণ্ডগোল।
র্যাম্পে কেমন সেই সেলিব্রিটিরা? লিয়েন্ডার পেজ, বিপাশা বসু, কঙ্গনা রানাওয়াত থেকে মাধবন, চিত্রাঙ্গদা সিংহ, নার্গিস ফকরি? যাঁরা হাঁটলেন? “বিপাশা তো নিজেই সুপারমডেল ছিল। আজ পর্যন্ত ওর জন্য কোনও দিন শো শুরু করতে দেরি হয়নি। এবারও তাই। কঙ্গনাও খুব পেশাদার। শো-র শেষে সব সময় ধন্যবাদ দিয়ে যায়,” ছুটতে ছুটতেই বলছেন পুজন। এ বার বিপাশার সঙ্গে হাঁটলেন মাধবন। ‘জোড়ি ব্রেকারস’-এর ‘জোড়ি’। র্যাম্পে আনকোরা মাধবনকে অবশ্য বলা হয়েছিল বিপাশাকে দেখে দেখে যা করার করতে। “উনি বাধ্য ছাত্রর মতো তাই করেছেন,” বলছেন পুজন।
উঁকি মারলেন মেক-আপ রুমে। প্রায় ছ’ফুটের সুপারমডেল ঠায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টেনেই চলেছেন। “টেনশন,” চোখ মেরে ছোট্ট উত্তর তাঁর পাশের এক সুপারমডেলের। “এমনিতেই এত কাজের মধ্যে খাওয়া আর ব্যায়াম মাথায় উঠেছে। তার ওপর আমার এখানকার খাবার ভাল লাগছে না। তাই ফল, ফলের রস আর প্রচুর জল খেয়েই কাটিয়ে দিচ্ছি,” বলছিলেন ইউক্রেনীয় সুপারমডেল ক্যাটরিনা।
সাজ-ঘরে তখন নিঃশব্দে চলছে ৯০ জোড়া হাত। নিরাভরণ মুখের ওপর পড়ছে ব্রাশের দক্ষ টান। ড্রেসিং টেবিলের তীব্র আলোয় চলকে পড়ছে সুপারমডেলদের তিলে তিলে ‘গড়ে ওঠা’ রূপ। ব্রাশ হাতে মিকি কনট্রাক্টর। দেশের অন্যতম সেলিব্রিটি মেক-আপ আর্টিস্ট।
কিন্তু তুলির টানগুলো কী রকম যেন ‘অদ্ভুতেড়ে’। হেসে ফেললেন মিকি। এ হচ্ছে ‘কার্টুন মেক-আপ’। এটাই এই সময়কার ‘হটেস্ট’ মেক-আপ ট্রেন্ড। মানে মনে করুন ‘স্নো হোয়াইট’এর সেই শয়তান রানি। বা ‘স্লিপিং বিউটি’র সেই দুষ্টু মহিলা!
ঘরের আপাত শান্ত পরিবেশে টেনশনের চোরাস্রোত। “গত ১২ বছর ধরে এই মারাত্মক টেনশন, চাপ নেওয়া অভ্যেস হয়ে গেছে। দেখুন না, প্রায় ১৬ জন মডেলকে একসঙ্গে মেক-আপ করাচ্ছে আমার সঙ্গীরা,” হাল্কা সুরে বলছিলেন দেশের সব থেকে বড় মেক-আপ কনসালটেন্সি ওয়াই অ্যান্ড ই-র মেক-আপ আর্টিস্টদ্বয়ের যতন-জোজো’র যতন অহ্লুওয়ালিয়া।
|
আর |
এই মহাযজ্ঞে কলকাতা? এফ ডি সি আই’র সভাপতি সুনীল শেঠির কথাতে একটা ছবি পাওয়া যাবে। “কলকাতার ডিজাইনাদের নিয়ে আমি রীতিমতো গর্বিত। অনামিকা (খান্না), সব্যসাচী (মুখোপাধ্যায়) তো বটেই, এ বার যাঁরা এসেছেন সেই দেব-নীল, কল্লোল দত্ত, চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরা... প্রত্যেকেই অসম্ভব প্রতিভাবান”।
দেব-নীলের পোশাকে স্বাধীনতার ছোঁয়ায় গুচ্ছ গুচ্ছ ঝলমলে প্রজাপতি। বা সোনালি মাছের উচ্ছ্বাস। তাঁদের প্রেরণা ‘মাই অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’। বাস্তব আর অধিবাস্তবের মিলমিশে তৈরি বাটিক আর সিল্ক-স্ক্রিন প্রিন্টিং-এর ছাপা দুর্দান্ত কালেকশন।
কল্লোল দত্ত তাঁর বিশেষ কালেকশন ‘কল্লোল দত্ত ১৯৫৫’ উৎসর্গ করেছেন তাঁর মা’কে। “১৯৫৫-এ আমার মায়ের জন্ম,” বলছেন তিনি। ধূসর রঙের ঢিলে ড্রেস বাঁধা উজ্জ্বল কমলা রঙের ফিতে দিয়ে। মনে করিয়ে দেয় হাসপাতালের রোগীর পরা অ্যাপ্রনের কথা। এক অদ্ভুত বিষণ্ণতা।
অন্য দিকে চন্দ্রাণীর কলেকশন ‘স্যাফায়ার’। নীলা। চকমকে উজ্জ্বলতা। তাঁর তৈরি জ্যাকেট, টিউনিক থেকে চলকে পড়ছে চনমনে যৌবন। স্মার্টনেস। এখানে এলে শ্রেষ্ঠদের সঙ্গে কাজ করে, নিজের কাজের মানেরও একটা হিসেব পাওয়া যায়, বলছিলেন চন্দ্রাণী। ‘স্যাফায়ার’-এর শো’স্টপার ‘বিগ বস’ খ্যাত পুজা মিশ্র। |
|
|
সুলক্ষণার সৃষ্টি |
কল্লোল দত্তর ‘১৯৫৫’ কালেকশন |
|
পর |
পর চলছে শো’। শুরু দুপুর ১২ টা। শেষ রাত সাড়ে ন’টা। প্রতিটা ২০ মিনিট করে।
ঠাসা হলে র্যাম্পে আলো ঝলসাচ্ছে।
মিডিয়া, দর্শক, মত্ত নতুন ডিজাইনের আবিষ্কারে। আর পেছনে সব্বাই রুদ্ধশ্বাস সময় গুনছেন। তীক্ষ্ণ চোখ মনিটরে। এমনিতেই এই শো’টার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেছে। তার ওপর শেষ মুহূর্তে এক মডেলের পোশাক ঠিক করতে গিয়ে ‘জিপার’ গেছে ছিঁড়ে। কোনও রকমে সেফটিপিন দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে!
এই রে! চকচকে স্টিলের সেফটিপিন র্যাম্পের তীব্র আলোতে ঝিকোচ্ছে যে! আরও বিপত্তি! অন্য একজনের পোশাক থেকে দামের ‘ট্যাগ’ ঝুলছে! ভগবান, কেউ যেন না দেখে ওটা! কোনও রকমে শো’টা পার করে দাও। বিড়বিড় করে প্রার্থনা করছেন পুজন।
সারাক্ষণ এই মারকাটারি টেনশন?
“ফ্যাশন এমন একটা কাজ যেখানে ক্যামেরার সামনে বা পেছনে, সব সময়ই দশে দশ স্কোর করতে হবে,” বলছিলেন যতন। তুলির টানের ফাঁকে অবসরে।
বলতে বলতেই, পরের শো’র ডাক। সেই গমগমে ঘোষণা, ‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন, দ্য শো’ ইজ অ্যাবাউট টু বিগিন...’। |
|
|
|
|
|