খেলাধুলা...
বিরাট পর্ব
তুন দিল্লির পশ্চিম বিহারের শান্তি নগর সবটাই দেখেছে।
এই এলাকা একদিন দেখেছিল বাবার মৃত্যুর পর একটা বাচ্চা ছেলে তার মাকে কী ভাবে সান্ত্বনা দিচ্ছে।
তারপর সেই ছেলে দিল্লি ক্রিকেট দলে খেলতে শুরু করল। ধীরে, ধীরে খ্যাতি ছড়াল। দিল্লির উঠতি ক্রিকেট তারকাকে নিয়ে খবর করতে আসা সাংবাদিকদের আর তখন সমস্যা হত না বিরাটের বাড়ি খুঁজে পেতে। আগ্রহী প্রতিবেশীরাই দেখিয়ে দিতেন কোথায় যেতে হবে।
আর এখন, শান্তি নগরের বিরাট ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সহঅধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর বাড়ি ঘিরে সারাক্ষণ একটা হইচই। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেটি এখন এলাকার ভিভিআইপি।
ক্রিকেটার হিসেবে বিরাটের ব্র্যান্ড যে বেড়েছে, তার একটা পরিষ্কার আন্দাজ পাওয়া যাবে তিনি গত চার বছরে কতগুলো গাড়ি পাল্টেছেন, তার হিসেব নিলে। প্রথমে ছিল টাটা সাফারি। তারপর গিয়ার পাল্টে হন্ডা সিটি। এর পর তাঁর গ্যারেজে ঢুকল হন্ডা অ্যাকর্ড। তারপর কিনলেন স্কোডা সুপার্ব। আর এখন কেরিয়ার আর গাড়ি, দুটোই ‘ক্রুজ কন্ট্রোল’ মোডে চলছে - বিরাট এখন চালান বিএমডব্লুউ কিউ-সিক্স।
বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ভরাডুবির পরেও একমাত্র ক্রিকেটার যাঁর শেয়ার দর দিনে দিনে বাড়ছে।

রেস্তোরাঁতেও শান্তি নেই
কাট্ টু কর্নাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ। দিল্লি ফলো-অনের মুখে দাঁড়িয়ে। স্কোর পাঁচ উইকেটে ১০৩। বিরাট কোহলি অপরাজিত ৪০ নট-আউট।
তারিখটা স্পষ্ট মনে আছে। ১৯ ডিসেম্বর, ২০০৬। বিরাট কোহলির বাবা সেদিন মারা গিয়েছেন।
ছেলেটাকে দিল্লির অধিনায়ক মিঠুন মানহাস বলেছিলেন বাড়িতে থেকে যেতে। শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। একবুক শোকে ছারখার হয়ে যাওয়া বিরাট কাঁদতে কাঁদতে অস্ট্রেলিয়ায় ফোন করেছিলেন কোচ রাজ কুমার শর্মাকে। একটাই প্রশ্নকী করব? কোচ বলেছিলেন ইনিংসটা শেষ করো।
বিরাট কোহলি সেদিন মাঠে পৌঁছেছিলেন ঠিক সময়ে। মৃত বাবাকে বাড়িতে রেখে এসে ১৮ বছরের ছেলে সে দিন দিল্লিকে বাঁচিয়েছিলেন ফলো-অনের হাত থেকে। দেখিয়েছিলেন পিতৃবিয়োগের শোক আত্মস্থ করে একটা চোয়াল শক্ত করা লড়াই। কয়েক ঘণ্টার ফারাকে একটা ছেলে হঠাৎ অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল সে দিন। ব্যক্তিগত শোক, যন্ত্রণার ঊর্ব্ধে উঠে জীবনের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপটা সেদিন করে ফেলছিলেন বিরাট। সংঘর্ষকে চোখে-চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রবণতা বরাবরই ছিল। সে দিন দিল্লি ড্রেসিংরুম দেখেছিল ছেলেটা কঠিন সিদ্ধান্তগুলোও নিতে পারে। ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলাটাই একমাত্র স্বপ্ন ছিল তাঁর।
আজকে সেই দিল্লি ক্রিকেট দলের বন্ধুরাই বসে আছেন বিরাটের জন্য। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আসার পর দিল্লি ক্রিকেট দলের পুরনো বন্ধুরা প্ল্যান করেছেন বিরাটের সঙ্গে একদিন আড্ডা মারবেন। অস্ট্রেলিয়া ট্যুরের গল্প শুনবেন। দিল্লি দলের সবাই জানেন, বিরাটের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা কী তীক্ষ্ম! বিরাটের কাছ থেকে টিপ্স পেলে যে তাঁদের কেরিয়ারেই অনেক সাহায্য হবে, এ বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত।
সমস্যা হল, বিরাটের সঙ্গে আড্ডাটা মারবেন কোথায়? ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকেই বিরাটকে ঘিরে ক্রেজটা এতই বেশি যে কোনও রেস্তোরাঁতেও শান্তিতে বসার উপায় নেই তাঁর। লোকজন ঘিরে ধরবেই, মব্ড হবেনই। এমনকী কোনও রেস্তোরাঁতে গভীর রাতে ঢুকলেও অবধারিতভাবে স্পটলাইটটা ওঁর দিকেই ঘুরে যায়।
বিরাটের সানগ্লাস কেনার শখ আছে। রাতেও ইদানীং রোদচশমা পরে বেরোতে বাধ্য হন। যাতে লোকে চিনতে না পরে। কিন্তু তাতে কিচ্ছু হয় না! যেখানেই যান না কেন, লোকে তাঁকে চিনে ফেলেই।

স্পিড ডায়ালে কোচ আর মা
পশ্চিম দিল্লির ছেলে বিরাট। রাস্তায় ক্রিকেট খেলতেন ছোটবেলা থেকেই। বাবা প্রেম কোহলি ছিলেন আইনজ্ঞ। কিন্তু ছেলের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারটিকে প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন তিনিই। ছেলেকে বাবাই ভর্তি করে দিয়েছিলেন শর্মার কোচিংয়ে। শর্মা তখন পশ্চিম বিহারের ওয়েস্ট দিল্লি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ। “ছোটবেলায় বেশ মোটাসোটা ছিল বিরাট। দুষ্টুও ছিল। তা ওই বয়সে তো সব ছেলেই একটু বদমায়েশি করে। কিন্তু ভেতরে, ভেতরে প্রচণ্ড শক্তিশালী ছিল ওই বয়সেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাট করতে পারত,” বলছিলেন শর্মা। দিল্লি ‘এ’ ডিভিসনের হয়ে যখন লিগ ম্যাচ খেলছেন, তখন বিরাটের বয়স মোটে ১৪। বিরাট সে সবের ধার ধারতেন না। সব সময় চাইতেন ওঁর থেকে বয়সে বড়দের সঙ্গে খেলতে। বিশ্বাস করতেন তাতে প্রতিযোগিতার ঝাঁঝটা বেড়ে যায়। “সিনিয়রদের সঙ্গে খেললে দু’টো জিনিস ঘটে। এক, তাদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতে পারলে তুমি ছাপ ফেলতে পারবে অনেক সহজে। দুই, এটাই হচ্ছে শেখার সেরা পথ,” বলেন বিরাট।
সেই মোটাসোটা ছেলে আজকের ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক। এবং টিমে তাঁর সিনিয়র, দিল্লির অন্য দুই তারকা, বীরেন্দ্র সহবাগ আর গৌতম গম্ভীর ভীষণ খুশি ‘অপনা বিরাট’ ভারতের সহ-অধিনায়ক হওয়ায়। সহ-অধিনায়ক তো সেদিন হলেন। কিন্তু দিল্লি ক্রিকেট মহল তার বহু দিন আগে থেকেই বিরাটের মধ্যে ভারতের ভবিষ্যতের অধিনায়ককে দেখছে। সহবাগ আর গম্ভীর, দু’জনেই বরাবর বলে এসেছেন, বিরাট একটি বিশেষ প্রতিভা।
বিশেষ প্রতিভা হতেই পারেন, কিন্তু বিরাট আদতে মা’য়ের বাধ্য সন্তান। আজও মায়ের সঙ্গে প্রত্যেক দিন কথা বলাটা বিরাটের রুটিন। সে তিনি দুনিয়ার যেখানেই থাকুন না কেন। সত্যি বলতে, বিরাটের ফোনের স্পিড ডায়ালে দুটো নম্বর সেভ করা আছে। একটা ওঁর কোচের। অন্যটা মায়ের।

নিজের জায়গাটা করে নেব
কর্নাটকের বিরুদ্ধে দিল্লির সেই রঞ্জি ম্যাচে মাঠে ছিলেন আশিস নেহরা। সেই নেহরা বলছিলেন, “বিরাট নিজের ক্রিকেটের পিছনে কতটা খেটেছে, সেটা আমি দেখেছি। এমনকী নেট প্র্যাকটিসেও। ২৪ ঘণ্টাই ক্রিকেট খেলতে চায়, এমন প্যাশন আমি খুব কম দেখেছি।”
বিরাটের আর একটা প্যাশন জামাকাপড়ের। নতুন নতুন ফ্যাশনের শার্ট আর টি-শার্ট ভীষণ ভালবাসেন। ওঁর দিল্লির সহখেলোয়াড়রা আমায় এটাও বলেছেন যে বিরাট কেবল ডিজাইনার পোশাক পরতে ভালবাসেন, এমন মোটেও নয়। এমনকী নিজের ক্রিকেট খেলার সাদা পোশাক সম্বন্ধেও বিরাট অসম্ভব খুঁতখুঁতে। লক্ষ করে দেখবেন, ক্রিকেট মাঠেও কখনও বিরাট যা হোক করে একটা কিছু পরে নেমে পড়েন না। ঝকঝকে থাকার চেষ্টা করেন সবসময়। এবং মাঠে টিমের অন্যান্যরাও যাতে ফিটফাট থাকেন, সেটা মনেপ্রাণে চান।
ক্রিকেটের সনাতন স্কুলের ছাত্র হতে পারেন, কিন্তু মনেপ্রাণে বিরাট একজন আধুনিক ক্রিকেটার। ঔদ্ধত্য আছে, এবং সেটাকে মোটেই লুকিয়ে রাখেন না। আক্রমণাত্মক মনোভাবটা তাই সহজাত। আসলে দিল্লি শহরের কর্কশ সংঘর্ষময় ক্রিকেটীয় দুনিয়ায় একেবারে একার চেষ্টায় ছাপ ফেলতে গেলে স্রেফ সাহসী হলে চলে না। ভেতরে ভেতরে অসম্ভব কঠিনও হতে হয়। কিন্তু ভারতের নতুন সহ-অধিনায়ক আসলে ভীষণই ভদ্র। সবচেয়ে পছন্দ করেন ক্রিকেটার বন্ধুদের সঙ্গ। কখনও কারও কাছে সাহায্য চাননি। যা করার নিজে করেছেন। “আমি আক্রমণাত্মক হতে পারি। কিন্তু কাউকে অসম্মান করি না,” বলেন বিরাট।
“আমার বাবা-মা, কোচ, শিক্ষকরা বরাবর শিখিয়েছেন সিনিয়রদের সম্মান করতে। কিন্তু নিজের জায়গাটা আমি ঠিক তৈরি করে নেব।” তাঁর ক্রিকেট দর্শন আর জীবন দর্শন দু’টোই যে অন্যদের থেকে আলাদা।

বিদ্যা বালান

রাইমা সেন
যখনই কোনও পার্টিতে গেছি বা কোনও আলোচনা শুনেছি,
তখনই সেখানে ক্রিকেট-সংক্রান্ত যে কোনও কথাতেই
বিরাট কোহলির নাম উঠে এসেছে। ওর আগ্রাসী
মনোভাবের প্রশংসা শুনেছি। আর এখন তো ও
টিমের সহ-অধিনায়ক। ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন
‘পিন-আপ বয়’ তাহলে এসেই গেল!
আমি তো ওর ‘গো-গেটার’ মনোভাবে পুরো ফিদা!
মাঠে ওর কনফিডেন্সটা দারুণ লাগে। মাঠে ওর
হাঁটাচলাতেই সেটা বোঝা যায়। তার ওপর
ওই রকম একখানা ‘কুল’ হেয়ারস্টাইল! সব
মিলিয়ে মারকাটারি প্যাকেজ। নিঃসন্দেহে
বিরাটই পরের ইয়ুথ আইকন।

দু’জন বেয়াড়া সিনিয়রকে তাঁকে মানতে বাধ্য করেছিলেন
সহ-অধিনায়কের পদে বিরাট কোহলির উত্তরণকে তাঁর সমালোচকরা হয়তো কিছুটা আশঙ্কার চোখে দেখছেন। কিন্তু বিরাটকে যতটুকু চিনি, বলতে দ্বিধা নেই, ভারতীয় ক্রিকেটে ভবিষ্যতের সেরা বাজি কিন্তু বিরাট কোহলি। ২০০৮-এ কুয়ালালামপুরে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ যে দল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন বিরাটই। কিন্তু তার আগেও দেখা গেছে নেতা বিরাটকে। লিগ ম্যাচে তো বটেই, ফার্স্ট-ক্লাস ক্রিকেটেও অনেক সময়ে দেখেছি বিরাট নিজে থেকেই ফিল্ডিং সাজিয়ে দিচ্ছেন টিমের হয়ে। এবং তাঁর অধিনায়ক সহাস্যে তা মেনেও নিচ্ছেন। দু’বছর আগে বিরাটকে দিল্লির অধিনায়ক করা হয়েছিল। বিরাটও দুর্দান্তভাবে লুফে নিয়েছিলেন সুযোগটা। দু’জন বেয়াড়া সিনিয়রকে বাধ্য করেছিলেন দলের নিয়মকানুন মেনে চলতে।

সচিন তাঁর জন্য পানীয় নিয়ে আসার অফার দিয়েছিলেন
সেই ক্রিকেট স্মার্টনেসের রহস্য হল বিরাটের বিশ্লেষণের ক্ষমতা। ক্রিকেট নিয়ে বিরাট পড়াশোনা করেন না। কিন্তু সিনিয়ররা কে কী করছেন, সেটা খুব তীক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করেন সারাক্ষণ। কোন একটা ট্যুরে বিরাট ড্রেসিং রুমে একটু আরাম করছিলেন। সচিন তেন্ডুলকর তাঁকে এসে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কোনও ঠান্ডা পানীয় খাবেন কি না। খেলে সচিন নিয়ে আসবেন।
এত সিনিয়র একজন এই ভাবে তাঁর জন্য পানীয় নিয়ে আসার অফার দেবেন, বিরাট ভাবতেই পারেননি। সোজা উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। পরে বলেছিলেন, “সচিনের মতো নম্র মানুষ আমি আর দেখিনি।” এবং সিনিয়রের কাছ থেকে পাওয়া এই শিক্ষাটাও কোনও দিন ভোলেননি।
অস্ট্রেলিয়া ট্যুরের জন্য বিরাট নিজেকে চুপচাপ তৈরি করেছিলেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্র্যাক্টিসের ফলও পেয়েছেন আসল জায়গায়। পুল শটটাকে এতটাই ক্ষিপ্র করে ফেলেছেন যে রিকি পন্টিংয়ের কথা মনে করিয়েছেন বারবার। প্যাডে আসা বলটা বরাবরই ভাল মারতেন, কিন্তু এবার ড্রাইভগুলোয় পোড়খাওয়া ব্যাটসম্যানের ছাপ পড়েছে।
রাহুল দ্রাবিড় থেকে বীরেন্দ্র সহবাগ, সবাই তাঁর টেকনিক, টেম্পারামেন্ট আর উৎসাহের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ওই যে প্রথমে বলেছিলাম না, বিরাট বড় স্কোরের ভক্ত। তাঁর কোচ শর্মা তো এখনও গর্ব করে বলেন, “অনূর্ধ্ব-১৫ আর অনূর্ধ্ব-১৭, দু’টোতেই ওর ডবল সেঞ্চুরি আছে।”

কড়ায়-গন্ডায় ফিরিয়ে দেবেই
অস্ট্রেলিয়ায় বিরাটের চরিত্রের আরেকটা দিকও ফুটে উঠেছিল। দর্শকদের মধ্যাঙ্গুষ্ঠ দেখানোর সেই ছবি নিয়ে মিডিয়া প্রচুর হইচই করেছিল। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি, ওই ভঙ্গিটা ইচ্ছাকৃত ছিল না। বিরাটের বহুদিনের বন্ধু, কর্নাটকের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং পার্টনার পুনীত বিস্তও তাই মনে করেন। বলেন, “নিজের দোষ না থাকলে বিরাট কিন্তু চুপচাপ কোনও কিছু মেনে নেবে না। কড়ায়-গন্ডায় ফিরিয়ে দেবেই।”
বিরাট নিজেও সেটাই বলেন- “আমি সৎ। তা হলে শুধু শুধু কেন নিজের আসল অনুভুতিগুলোকে আড়াল করব?” ব্যাটিংটা দুর্দান্ত করেন, ফিল্ডিংটাও বেশ ভাল। বল করতেও ভালবাসেন। তবে বিরাট সম্পর্কে কপিল দেব বলেছিলেন, “মেজাজটা একটু সংযত করতে হবে।” ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের বোধহয় সেটা মনে রাখা উচিত।
সবে ২৩ বছর বয়স। ভারতীয় ক্রিকেটের হট প্রপার্টি তিনি। বিরাটের জীবনে একটাই ‘অপূর্ণতা’ যে বাবা প্রথম চিনেছিলেন তাঁর মধ্যে থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারটিকে, সেই বাবা দেখে যেতে পারলেন না ভারতীয় দলে ছেলের উত্তরণ। এবার একটা জিনিসেরই প্রয়োজন। সংযম।
এক্ষুনি তুলনায় যাওয়া হয়তো ঠিক হবে না, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন দিকচিহ্ন রচনা করতে পারেন বিরাট। তিনি একই সঙ্গে আক্রমণাত্মক কিন্তু আত্মবিশ্বাসী, পারফরম্যান্সে সাবলীল, এবং সবচেয়ে বড় কথা, সুযোগের শ্রেষ্ঠ সদ্ব্যবহারে বিশ্বাসী। যিনি পরিষ্কার বলতে পারেন, “মধ্যিখানের সংঘর্ষটা কর্কশ। তার জন্য দরকার অদম্য সাহস।”
বিরাট কোহলির সেই সাহস আছে।

লেখক ‘দ্য হিন্দু’র সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.