|
|
|
|
গুন্ডাবাজি রুখতে কড়া বার্তা মুলায়মের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
উত্তরপ্রদেশে গুন্ডাবাজি কড়া হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব। সমাজবাদী পার্টির কোনও সমর্থককেও রেহাই দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে মুলায়মের দল। তার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সমাজবাদী পার্টির সমর্থকদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ শোনা গিয়েছে। মুলায়মের ছেলে অখিলেশের অবশ্য দাবি, তাঁদের কোনও সমর্থক এ সব ঘটনায় জড়িত নন। তাঁর মতে, নির্বাচনে যারা হেরে গিয়েছে এই সব ঘটনার পিছনে তাদের হাত থাকতে পারে। সমাজবাদী পার্টির ভাবমূর্তি নষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্যে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। আগরা জেলার পার্বতীপুর গ্রামে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মুন্নালালকে পিটিয়ে মারে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। তিনি বহুজন সমাজ পার্টির কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় কোনও এফআইআর হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে বহুজন সমাজ পার্টির স্থানীয় কর্মী-সমর্থক ও মুন্নালালের পরিবারের দাবি, বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টিকে ভোট না দিলে তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
সীতাপুরে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের সময়ে দু’টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঝাঁসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন সমাজবাদী পার্টির সমর্থকরা। ফিরোজাবাদে সমাজবাদী পার্টির সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। গুলিতে আহত হয়েছেন এক যুবক। বালিয়ায় এক জেডি(ইউ) সমর্থকের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাতেও অভিযোগের তির সমাজবাদী পার্টির দিকে। ২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে অরাজকতা নিয়ে প্রচার করেছিল বিরোধীরা। ভোটে হেরে যান মুলায়ম। তাই এ বার কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না সমাজবাদী পার্টি। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব ও পুলিশকর্তাদের কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুলায়ম। কিছু উচ্চপদস্থ অফিসার নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না বলে মনে করেন অখিলেশ। মুলায়ম-পুত্রের দাবি, নতুন সরকার ক্ষমতায় এলেই ওই অফিসারদের সরানো হবে। তাই তাঁদের আর দায়িত্বপালনের উৎসাহ নেই।
উত্তরপ্রদেশ ভোটের পরে সমাজবাদী পার্টিকে চটাতে রাজি নয় কংগ্রেস। ফলে এখনই এই বিষয়ে মুলায়মের দলের কড়া সমালোচনা করছে না তারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ সব ঘটনা নিশ্চয় নিন্দনীয়। তবে নতুন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে বলে আশা কংগ্রেসের। |
|
|
|
|
|