নিজস্ব সংবাদদাতা • সদাইপুর |
শুক্রবার থেকে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় সিটু প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়নের রাজ্য সম্মেলন শুরু হল। ওই সম্মেলন উপলক্ষ্যে সিপিএমের কর্মীরা কয়েক দিন ধরে এলাকায় দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন। তা নিয়েই তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বিরোধের সূত্রপাত। সিপিএমের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় অতর্কিতে জনা ত্রিশেক সশস্ত্র তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁদের কচুজোড় লোকাল কমিটির অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। কয়েক জন সিপিএম কর্মীকে মারধর করে অফিসের চেয়ার, জানলার কাচ ভাঙচুর করা হয়। তিনটি মোটরবাইক ও কয়েকটি সাইকেলও ভাঙচুর হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সিপিএমের পতাকাও। পুলিশ পৌঁছে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূলের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিপিএমের পার্টি অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের এক কর্মীকে সিপিএমের কর্মীরা মারধর করে। তার প্রতিবাদ করতে আমাদের আরও কয়েক জন কর্মী সেখানে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। মারধর বা ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্রের দাবি, “আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের এলাকা ও গেটে পতাকা লাগাচ্ছিলেন। তৃণমূলের লোকেরা জোর করে আমাদের পতাকার মাঝে ওদের শ্রমিক সংগঠনের পতাকা লাগিয়ে দেয়। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার কচুজোড় এলাকায় আমাদের কিছু কর্মী পতাকা লাগাতে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের লোকজন তাঁদের বাধা দিয়ে মারধর করে। শেখডিহি গ্রামের বেশ কিছু সশস্ত্র তৃণমূল সমর্থক অতর্কিতে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালায়। ওদের পাঁচ জনের নামের অভিযোগ দায়ের করা হয়।” তৃণমূলের জেলা নেতা শৈলেন মাহাতা’র পাল্টা দাবি, “সিপিএমের লোকেরা আমাদের পতাকা খুলে নিজেদের পতাকা লাগাচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় উল্টে তারা আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে। তারই প্রতিবাদে আমাদের কর্মীরা সেখান জমায়েত করে। সেই সুযোগ নিয়ে সিপিএমের লোকেরা নিজেরাই পার্টি অফিস ভাঙচুর করে পুলিশ ডাকে। তা না হলে আমাদের কর্মীদের পুলিশ ধরে কী ভাবে? ভাঙচুর করলে তারা কী আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকত?” |