|
|
|
|
আগুনের গ্রাসে লোকালয় |
কেতুগ্রামে দুর্গতের সাহায্যে পড়শিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেতুগ্রাম |
উনুনের আগুন ছড়িয়ে পড়ে বৃহস্পতিবার রাতে ১৫টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেল কেতুগ্রামের শিলুড়ি গ্রামে। মারা গিয়েছে বেশ কিছু ছাগল ও মুরগি। গভীর রাতে ভাতার থেকে দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যান কেতুগ্রাম ২ বিডিও হেমন্ত ঘোষ। তিনি বলেন, “পুরো বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ও ব্লক দফতর থেকে দুর্গতদের সাহায্য করা হচ্ছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শিলুড়ি গ্রামের একটি বাড়ির রান্নাঘরে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোয়ালঘরে। তার থেকেই পাশের বসত বাড়িতে আগুন লেগে যায়। ওই বাড়ির বাসিন্দারা বোঝার আগেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুনেই ৪টি দোতলা মাটির বাড়ি-সহ ১৫টি বাড়ি ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে ৫টি ছাগল ও ৫টি মুরগি। আগুন লাগার পরে প্রাণ বাঁচাতে বাড়িগুলির বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে পড়েন। তারপরে তাঁরা থানা ও দমকলেও খবর দেয়। দমকলের কাটোয়া বিভাগের দু’টি ইঞ্জিনই দাঁইহাটের আগুন নেভাতে বেরিয়ে যায়। হেমন্তবাবু বলেন, “কাটোয়া দমকলকেন্দ্রে ইঞ্জিন না থাকায় ভাতারে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে গভীর রাতে দমকল এসে আগুন নেভায়।” গ্রামের আক্রাশ আলি, জামিরুল শেখের ক্ষোভ, “দমকল আগে এলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হত। কাছাকাছি কোনও জলাশয় না থাকায় আগুন নেভানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’’
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, আগুন লাগার ফলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বাসনপত্র, বিছানা থেকে নগদ টাকা, গয়না নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রূপাই শেখ বলেন, “পাকা বাড়ি তৈরি করব বলে বাড়িতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা রেখেছিলাম। ওই টাকা দিয়ে ইট কেনার কথা ছিল। আগুনে সব নষ্ট হয়ে গেল।” আমিরুল শেখ, কালাম মোল্লা, রেজ্জাক চৌধুরী বলেন, “হঠাৎ আগুন দেখে আমরা ভয় পেয়ে যাই। বাড়ির জিনিসপত্র বের করার আগেই সব পুড়ে যায়। আমরা এখন সর্বস্বান্ত।” ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসী। তাঁদের মাথার ছাদ থেকে বাঁচার রসদ সবই ব্যবস্থা করছেন তাঁরা।
কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সিতাহাটি গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তথা শিলুড়ি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান চৌধুরী বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই জন্য তাঁরা চাঁদা তুলছেন।” |
|
|
|
|
|