|
|
|
|
আগুনের গ্রাসে লোকালয় |
বাড়ির গরু-ছাগলও পুড়ে মরল দাঁইহাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁইহাট |
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ১৩টি বাড়ি। বৃহস্পতিবার দাঁইহাটের ২ নম্বর ওয়ার্ডে খেয়াঘাট এলাকায় ওই অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছে বেশ কিছু গবাদি পশুও। কাটোয়া থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে চারঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এসডিও (কাটোয়া) দেবীপ্রসাদ করণম, কাটোয়া ২ বিডিও নির্মলকুমার দাস-সহ অন্যান্য পুরকর্তারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের স্থানীয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের ত্রাণসামগ্রীও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই পাড়ার বাসিন্দারা নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে অভিমন্যু রাজোয়াড়ের বাড়িতে আগুন লাগে। সেই আগুনই ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় শ্মশানযাত্রীরা ওই আগুন দেখে চিৎকার শুরু করেন। এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যেই দমকল এসে আগুন নেভায়। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় বাসিন্দা সেতু রাজোয়াড়, শান্ত রাজোয়াড় বলেন, “সম্ভবত রান্না করার সময়ে উনুন থেকেই আগুন ছড়ায়। সেই সময়ে হাওয়া থাকায় কয়েক মুহূর্তে সব শেষ হয়ে যায়।” তাঁরা জানান, সেই সময়ে পাড়াতে প্রায় কেউই না থাকায় আগুন নেভাতেও দেরি হয়। বাসিন্দাদের দাবি, টালি ও করোগেটেড বাড়ির সমস্ত জিনিস পুড়ে যায়। মারা গিয়েছে ৩০টি ছাগল ও একটি গরু। শুক্রবার সকালে ত্রাণ শিবিরে যায় কাটোয়া ২ স্বাস্থ্য দফতর ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীরা। ওই শিবিরে ১৭টি পরিবারের ৭৫ জন রয়েছেন। বিডিও বলেন, “ওই পরিবারগুলিকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।”
এলাকার বাসিন্দা বেলো রাজোয়াড়, কালাচাঁদ চৌধুরী বলেন, “দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই। এই আগুনে আমাদের চরম ক্ষতি হয়ে গেল। সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।” শুক্রবার দাঁইহাটের পুরপ্রধান সন্তোষ দাস বলেন, “পুরসভা ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশা করছি সবার চেষ্টায় তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবেন।” |
|
|
|
|
|