|
|
|
|
আন্দোলনের জের |
দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
কারখানায় দুর্ঘটনায় মৃত ঠিকা শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও নিকট আত্মীয়কে ঠিকা শ্রমিকের চাকরি দেওয়ার দাবি মেনে নিলেন কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, কর্তৃপক্ষ মৃত ঠিকা শ্রমিক কুশকুমার রাজভরের পরিবারকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং মৃতের পরিবারের একজনকে ঠিকা শ্রমিকের চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের ওই বেসরকারি লোহার যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় গত রবিবার ছাদের সংস্কার কাজ করতে গিয়ে উঁচু থেকে পড়ে ঠিকা শ্রমিক কুশকুমার রাজভর (৩২) মারা যান। ছাদের বিমের সঙ্গে বেল্ট দিয়ে তাঁর শরীর বাঁধা না থাকায় প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু থেকে তিনি সরাসরি মেঝেতে পড়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরেই কারখানার বাকি কর্মীরা একজোট হন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এই কারখানায় নুন্যতম শিল্প-নিরাপত্তা বিধি মানা হয় না। তার মধ্যেই কাজ করে যেতে হয় তাঁদের।
মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। ওই দিন রবিবার হওয়ায় কারখানায় কোনও আধিকারিক ছিলেন না। সোমবার মৃতের দেহ কারখানায় নিয়ে গিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শ্রমিকরা। কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ না আসায় দিনভর বিক্ষোভ চলে। বিকালে কোকওভেন থানার পুলিশ এসে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলে বিক্ষোভ ওঠে। কর্তৃপক্ষের তরফেও দিন কয়েকের মধ্যেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দেওয়া হয়।
শুক্রবার শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও মৃতের পরিবারের একজনকে ঠিকা শ্রমিকের চাকরি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সাড়ে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। ৫০ হাজার টাকা করে ৯ দফায় এই টাকা দেওয়া হবে। ১ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে প্রথম দফার চেকটি তুলে দেওয়া হবে মৃতের স্ত্রী মমতাদেবীর হাতে। এছাড়া মৃতের দাদা রামায়ত রাজভরকে ঠিকা শ্রমিকের কাজ দেওয়া হবে। কারখানার এক আধিকারিক দীপক বসু বলেন, “দুর্ঘটনার পরেই আমরা আইনানুগ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলাম।” |
|
|
|
|
|