ফের সরার মুখে সিআইএসএফ
ন্ধ হয়ে পড়ে থাকা রাস্ট্রায়ত্ত সংস্থা মাইনিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশনের (এমএএমসি) পাহারা দেওয়ার জন্য সিআইএসএফ-এর পূর্ব নির্ধারিত ‘সময়সীমা’ শেষ হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালেই। তার পর থেকে কার্যত অরক্ষিত হয়ে পড়ে রয়েছে দুর্গাপুরের ওই কারখানার বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি।
সিআইএসএফ পাহারা বহাল রাখার দাবিতে শুক্রবার কারখানার গেটে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শ্রমিক সংগঠনগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনী সরানোর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা উঠে গেলে দুষ্কৃতীদের রমরমা বাড়বে। যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেলে কারখানা নতুন করে খোলার ব্যাপারে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেবে।
এমএএমসি কারখানা খোলার ব্যাপারে অতীতে আশ্বাস মিলেছে বহু বার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কারখানা অধিগ্রহণ করার জন্য ২০০৭ সালের ১ জুন তিনটি রাস্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল), কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিআইএল) এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) ‘কনসর্টিয়াম’ গড়ে। হাইকোর্টে নিলামে সর্বোচ্চ ১০০ কোটি টাকা দর দিয়ে এমএএমসি-র দায়িত্ব পায় তারা। ২০১০ সালের ১৮ অগস্ট তারা লিক্যুইডেটরের হাত থেকে কারখানার দায়িত্ব বুঝে নেয়। গত ৩১ জানুয়ারি মহাকরণে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিইএমএল-এর চেয়ারম্যানকে দ্রুত কারখানা খোলার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সিআইএসএফ পাহারা উঠে যাওয়ায় কারখানার ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের সংশয়ে দুর্গাপুরের মানুষ। কারখানার সিটু নেতা বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তীর আক্ষেপ, “রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী কারখানা খোলার কথা বলছেন। অথচ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিআইএসএফ তুলে নিল। এর পরে সব চুরি হয়ে গেলে কারখানা খুলবে কী ভাবে? কারখানা চালুর ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে বলে মনে হচ্ছে।” এআইটিইউসি নেতা স্বপন বিশ্বাসের মতে, “এলাকার মানুষ হতাশ হয়ে গিয়েছেন।” আইএনটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অসীম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই কনসর্টিয়াম, বিশেষ করে বিইএমএল-এর ভূমিকায় আমরা হতাশ। কারখানার যন্ত্রাংশ কী ভাবে নিরাপদে থাকবে, তা নিয়ে আদৌ তাদের মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হচ্ছে না।” তাঁর দাবি, সিআইএসএফ প্রহরা রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না হওয়াতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিআইএসএফ প্রহরা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতএব যন্ত্রপাতি চুরি গেলে তার দায় কনসর্টিয়ামের উপরেই বর্তাবে। এ কথা জানিয়ে বিইএমএল-কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বিইএমএল-এর এক স্থানীয় আধিকারিক বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” সিআইএসএফ-এর পাহারার মেয়াদ খাতায়-কলমে শেষ হয়ে গেলেও অবশ্য এখনও জওয়ানেরা রয়েছেন কারখানায়। সিআইএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, দায়িত্ব শেষ হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে স্থানান্তরের নির্দেশও আসেনি। কারখানার চাবি কার হাতে দেওয়া, তা-ও পরিষ্কার হয়নি। কাজেই জওয়ানেরা আপাতত রয়েছেন। আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই এক বার সিআইএসএফ প্রত্যাহারের নির্দেশ এলেও পরে তা রদ হয়েছিল। এ বারও তেমন কিছু হয় কি না, সেই আশাতেই আছেন এমএএমসি-র শ্রমিক-কর্মীরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.