টুকরো খবর
প্রতিবেশী ২ পরিবারের সংঘর্ষ গাজলে, জখম ৩
জমিতে খুঁটি পোঁতাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই পরিবারের সংঘর্ষের জেরে তৃণমূল সমর্থক দুই মহিলা-সহ ৩ জন জখম হয়েছে। সোমবার মালদহের গাজল থানার উত্তর মাহিনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারী প্রতিবেশী কংগ্রেস সমর্থক। জখমদের মালদহ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে গিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিবাদ চলছিল। আজ একপক্ষ বাড়ির সামনে খুঁটি পুঁততে গেলে অন্যপক্ষ বাধা দেয়। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষে কয়েকজন জখম হয়। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “১৬ নভেম্বর ওই গ্রামেই কংগ্রেসীদের হামলায় দলের নেতা প্রেমচাঁদ বল খুন হন। ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে আজ তারাই ফের আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে বলেছি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।” গাজল ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তামিজুদ্দিন আহমেদের পাল্টা অভিযোগ, তাঁরাই এলাকা শান্ত রেখেছেন। তৃণমূল সমর্থকেরা এলাকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। নানা ভাবে প্ররোচনা দিচ্ছে। তিনি বলেন, “তৃণমূলের প্ররোচনায় পা না-দেওয়ার জন্য কর্মীদের বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্বেও সেই প্ররোচনা কিছু কর্মী পা দিয়েছেন।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তৃণমূল সমর্থক শান্তিরঞ্জন মজুমদার বাড়ির সামনে জমিতে খুঁটি পুঁতছিলেন। সেই সময় কংগ্রেস সমর্থক রতন মজুমদার ও তাঁর দলবল বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এর পরেই শুরু হয় বচসা। গোলমাল চলাকালীনই কংগ্রেস সমর্থকরা লাঠি, হাঁসুয়া নিয়ে শান্তিরঞ্জন ও তাঁর পরিবারের উপর হামলা শুরু করে বলে অভিযোগ। হামলায় শান্তিরঞ্জনবাবু, তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী দেবী, বৌদি কল্যাণী দেবী মারাত্মক ভাবে জখম হন। প্রত্যেকেরই মাথায় আঘাত লেগেছে। গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দার ছুটে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পুলিস এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশকর্তার দ্বারস্থ ছাত্রী
তাঁর বাবাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা এ বার তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে মালদহের পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন গাজল গাড়াধুল গ্রামের ছাত্রী সোনামণি অধিকারী। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ওই গ্রামের প্রসেনজিৎ বিশ্বাস এবং তাঁর আত্মীয়রা ওই তরুণীর বাবা ও মাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধরে তরুণীর বাবা গোপালবাবুর মৃত্যু হলে পুলিশ প্রসেনজিৎ এবং ভাই চিরঞ্জীব এবং খুড়তুতো ভাই রমেনকে গ্রেফতার করে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী চিরঞ্জীব এবং রমেন সম্প্রতি মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পায়। তরুণীর নালিশ, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে রবিবার রাতে ওই দুই পরীক্ষার্থী পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ওই তরুণীর বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি দেয়। সোমবার জেলার পুলিশ সুপার জয়ন্ত পালের সঙ্গে দেখা করার পরে ওই তরুণী অভিযোগ করেন, “আমার বাবাকে যারা খুন করেছে তাদের মধ্যে দুজন কাল রাতে ওই দুজন ও তাদের বাবা, কাকারা আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি দিয়েছে, মামলা তুলে না নিলে বাবার মতো আমাকে খুন করবে। সকালে গাজল থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছি।” পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা হবে।” নালিশ পুরোপুরি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ ও চিরঞ্জীবের মা কল্পনা বিশ্বাস। তিনি বলেন, “সোনামণির বাবা মারা যাওয়ার পর গোটা গ্রামের মানুষ ওদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গ্রাম থেকে আমাদের উচ্ছেদ করতে গণস্বাক্ষর করে থানায় জমা দেন। গ্রামের মানুষ একঘরে করেছেন। আমার ছেলে কেন সোনামণিকে হুমকি দেবে? এটা আমাদের গ্রাম থেকে তাড়ানোর চক্রান্ত।”

খুন, পুলিশকে দুষছে কংগ্রেস
দলীয় নেতা পুলক তরফদারের খুনে অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী, সমর্থক বলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সোমবার জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “খুনের ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী, সমর্থক বলেই পুলিশ তাঁদের ধরতে গড়িমসি করছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য আন্দোলন স্থগিত রেখেছি। পুলিশকে কিছুদিন সময় দিচ্ছি। কাজ না হলে আন্দোলন হবে।” পক্ষাপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ। তিনি বলেন, “অভিযুক্তদের ধরার ব্যাপারে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। একজনকে ধরা হয়েছে। বাকিদের ধরতে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, ওই খুনের ঘটনায় কংগ্রেসের তরফে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এরা হলে রাকেশ শীল, বাপ্পা সাহা, বিমাল সাহা, নয়ন সিংহ, শম্ভু সিংহ, সঞ্জয় চাকি, টুকাই সরকার এবং সঞ্জয় শিল। এরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে কেবলমাত্র সঞ্জয় চাকিকে ধরা হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতির দাবি, “ড্রাগ বিরোধী আন্দোলন করছিলেন পুলক ও তাঁর সঙ্গীরা। বৃহস্পতিবার পুলককে খুন হতে হয়। এক সঙ্গী পালিয়ে বাঁচে।”

ধান কেনার অনুমতি
জেলাশাসকের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়ে সকলের ধান কেনার অনুমতি আদায় করে নিলেন এলাকার চাষিরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকে ফকিরগঞ্জে। এদিন সহায়ক মূল্যে ওই অঞ্চলের ২০০ চাষির কাছ থেকে ৩ কুইন্টাল করে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খাদ্য দফতর শিবির করে। কিন্তু ধান বেচতে প্রায় ৪০০ চাষি শিবিরে হাজির হয়ে যান। চালকলের প্রতিনিধি লক্ষ্যমাত্রার বেশি ধান কেনা সম্ভব নয় বলে তারা জানালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা। তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর পেয়ে জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী সেখানে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে যান। শেষপর্যন্ত চাষিদের দাবি মেনে প্রত্যেকের ধান কেনা হবে বলে জেলাশাসক আশ্বাস দিলে উত্তেজনা কমে। এদিন প্রশাসনের উদ্যোগে কুমারগঞ্জ এলাকায় ৫ টি জায়গায় শিবির করে সহায়ক মূল্যে চাষিদের ধান কেনা হয়।

ফিরল ‘নিখোঁজ’
ফিরলেন জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নিখোঁজ ছাত্র হলদিবাড়ির নকুল সরকার। মাথাভাঙা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সীতারাম সিংহ বলেন, “যেহেতু নকুলের নামে একটি নিখোঁজ হওয়ার একটি মামলা হয়েছে তাই তাঁকে আদালতে হাজির করানো জরুরি ছিল। বিচারপতির কাছে সোমবার তিনি নিখোঁজের বিষয়ে জবানবন্দি দেন।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ নভেম্বর হলদিবাড়ির বাড়ি থেকে ট্রেনে করে কলেজের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন নকুল। সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন নকুলের বাবা নৃপেনবাবু হলদিবাড়ি থানায় ছেলে নিখোঁজের একটি অভিযোগ করেন। জলপাইগুড়ি শহরে একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে নকুল পড়াশোনা করত। নকুলের বাবা নৃপেন সরকার বলেন, “ভারসাম্য হারিয়ে চলে গিয়েছিল। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।”

কুপিয়ে খুন, গ্রেফতার চার
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দ্বেগুনে ধানের জমির দখলকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের সংঘর্ষের সময় এক ইটভাটা মালিককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে তিনজন মহিলা-সহ ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করল। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলার পরে মূল অভিযুক্তকে ৭ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হলে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। তবে বিচারক তিন মহিলাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেও মূল অভিযুক্ত ইরমানুল হকের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন। ধৃতদের মধ্যে বাকিরা হল মূল অভিযুক্তের স্ত্রী সাইফুরা বিবি ও তাদের দুই মেয়ে আনজুরা বিবি ও নুর নেহার। পাশাপাশি এদিন বিকালে মৃতের বাড়িতে যান সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরি। অভিযুক্তরা তাঁদের দলের কেউ নয় বলে সিপিএম দাবি করলেও এদিনও সাংসদ দাবি করেন, “অভিযুক্তরা সিপিএমের সমর্থক। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রত্যেককে ধরার কথা পুলিশকে বলেছি। পরিকল্পনা করেই ওই খুন করা হয়েছে।” মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেছেন, “৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। বাকিদেরও ধরা হবে।”

সহায় প্রকল্পে ১৯
বালুরঘাটের ডাঙা অঞ্চলের ১৯ বাসিন্দাকে সহায় প্রকল্পের আওতায় আনা হল। সোমবার এক অনুষ্ঠানে তাদের খাবার তুলে দেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.