আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে শিলিগুড়ি-কোচবিহার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করবেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুরে ওই কথা জানান জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের শিলিগুড়ি ডিভিশনের প্রোজেক্ট ডিরেক্ট্রর রাজকুমার চৌধুরী। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রোজেক্ট ডিরেক্টরকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই সময় তিনি জানান, শিলিগুড়ি-কোচবিহারের মধ্যে জাতীয় সড়কের যে অংশ রয়েছে তার ২২ কিলোমিটার অংশের অবস্থা খারাপ। এ ছাড়া তিস্তা সেতু ও জলঢাকা সেতু বেহাল হয়ে পড়েছে। রাস্তা ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংস্কারের মধ্যে সংস্কার শুরু হবে। জলঢাকা সেতু চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে সংস্কারের কাজ হবে। তিস্তা সেতু সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হলেও যানজটের জন্য আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। |
তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করছি ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে। সেতু সংস্কারের কাজ এ মাসেই শুরু হবে। তিস্তা সেতু যানজট সমস্যায় কাজ করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় তা ভাবা হচ্ছে।” তৃণমূলের পক্ষে এদিন কৃষ্ণ পাল, সৌমিত্র কুন্ডু মিছিলের নেতৃত্ব দেন। তাঁরা বলেন, “সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড সমস্যায় আছেন। বহুবার আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তাঁরা কাজে হাত দেয়নি। তিস্তা সেতু সংস্কার শুরু করেও তা বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা কিছুতেই মানা হবে না। কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।” জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলবাড়ি থেকে ধূপগুড়ি প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। ফালাকাটা ধূপগুড়িরও প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে আছে। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাগডোগরা যাতায়াতের রাস্তাও সংস্কার হচ্ছে না। নিত্য যাত্রীদের অভিযোগ, ফুলবাড়ি-ধুপগুড়ির রাস্তায় পিচ বলে কিছু নেই। ওই রাস্তায় বালু-পাথর উঠে গিয়ে মাটি বেরিয়ে গিয়েছে। |
প্রায় প্রতিদিন ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। একই অবস্থা তিস্তা ও জলঢাকা সেতুতে। যাত্রীরা বলেন, “প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কখন দুর্ঘটনা ঘটবে সেই আশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে সবসময়। এর পরেও ওই রাস্তা সংস্কার না হলে শিলিগুড়ির সঙ্গে জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।” এদিন তৃণমূল সেবক রোডের ডন বসকো মোড় থেকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অফিসে মিছিল নিয়ে যায়। |