|
|
|
|
বকেয়ার দাবিতে কর্মবিরতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করলেন হাসপাতালের ১৫ জন অস্থায়ী কর্মী এবং ১১ জন নিরাপত্তা রক্ষী। সোমবার সকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে আইএনটিইউসি প্রভাবিত রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের শ্রমিক কংগ্রেসের ব্যানারে কর্মবিরতি শুরু করেন ওই সমস্ত কর্মীরা। |
|
হাসপাতালে আন্দোলনরত কর্মীরা। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী কর্মী দিব্যেন্দু মণ্ডল, আবুল কালাম আজাদ, হাসান আলিদের অভিযোগ, “প্রাপ্য বেতন ৬,৬০০ টাকা হলেও দীর্ঘদিন যাবত মাত্র ১৭০০ টাকা বেতনে কাজ করে যাচ্ছি। ২২ জনের জায়গায় ৯ জনকে সর্বক্ষণ ও ২ জনকে ক্যাজুয়াল ডিউটি করতে হচ্ছে।” তাঁদের দাবি, বিষয়টি হাসপাতাল সুপার ও সিএমওএইচকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। তাই তাঁরা বাধ্য হয়েই কর্মবিরতিতে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হাসপাতালের ১৫ জন অস্থায়ীকর্মীও ওই কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছেন। অস্থায়ী কর্মী নরেশচন্দ্র মণ্ডল, সরস্বতী দাস, ববিতা হাজরাদেরও অভিযোগ, “এমনিতেই দৈনিক মাত্র ৫০ টাকা মজুরিতে আমাদের কাজ করানো হয়। তার উপর দীর্ঘ ৫ মাস ধরে আমাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। বেতন বৃদ্ধি এবং বকেয়া মেটানোর জন্য বার বার আবেদন জানিয়েও কোনও সুবিচার পাইনি। এক প্রকার বাধ্য হয়েও আজ আমাদের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
কর্মীদের দাবি প্রসঙ্গে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাবের জন্য ওই ১৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে দৈনিক মজুরিতে কাজ করানো হয়। রোগী কল্যাণ সমিতির তহবিল থেকে তাঁদের মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই সমিতির তহবিলের অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মীদের ৫ মাস ধরে বকেয়া মেটানো যাচ্ছে না। আগামী দিনে রোগী কল্যাণ সমিতির সভায় মজুরি বৃদ্ধি এবং বকেয়া মেটানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।” নিরাপত্তারক্ষীদের দাবিটি সুদীপ্তবাবু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এ দিকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা অভিজিৎ মণির হুমকি, “দু’দিন কর্মবিরতি পালনের পরও যদি প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনও ভূমিকা না নেয়, তা হলে পরবর্তীকালে অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের নিয়েও আন্দোলনে নামব।” |
|
|
|
|
|