ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মীদের কাজে আসা বা না-আসার অধিকার নিয়ে গত কাল তিনি যে কথা বলেছিলেন, তা থেকে এখনও তিনি সরে আসেননি। তবে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আজ জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও বিষয়ে বিরোধ নেই।
ধর্মঘটে সরকারি কর্মীদের কাজে না-আসার অধিকার রয়েছে গত কাল কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে ব্রাত্যবাবুর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। আজ দিল্লিতে সংখ্যালঘু শিক্ষা সংক্রান্ত নজরদারি কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে ব্রাত্যবাবু অবশ্য এমন কোনও ‘বিতর্কের’ কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি: কোনও বিষয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে ভিন্ন সুর থাকতেই পারে, কিন্তু তা নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনও মতবিভেদ নেই।
তা হলে ধর্মঘটের দিনে সরকারি কর্মীদের কর্মস্থলে উপস্থিতির প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে ফারাক কেন? ব্রাত্যবাবুর ব্যাখ্যা, “একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম এই সব প্রচার চালাচ্ছে। কীসের বিরোধ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিয়েছেন। আমাদের মন্ত্রিসভা অটুট রয়েছে। কোথাও কোনও বিরোধ নেই। অন্য স্বর থাকতেই পারে। কিন্তু সেই স্বর এমন হবে না, যে ভাবে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘ও তো হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে গিয়েছে!”
তবে ধর্মঘটে ‘কাজে না-আসার অধিকার’ সম্পর্কে তাঁর গতকালের বক্তব্য থেকে আজ সরেও আসেননি ব্রাত্যবাবু। তাঁর কথায়, “যা বলার, বলে দিয়েছি। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে অচিরেই বলব। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলব।” |