বিধানসভার বাজেট অধিবেশন এক দিন পিছোল। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের ভাষণের মাধ্যমে আগামী ১৫ মার্চ শুরু হচ্ছে আসন্ন অধিবেশন। আগে ঠিক ছিল, অধিবেশন শুরু হবে ১৪ তারিখ। সেইমতো রাজ্যপাল ‘সম্মতি’ও দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিচালনার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই জন্যই অধিবেশনের সূচনা এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজেট অধিবেশনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবারই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পরিষদীয় ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কর্মসূচি অনুযায়ী ১৫ তারিখে বেলা ৩টেয় বক্তৃতা করবেন রাজ্যপাল। পরের দিন শোকপ্রস্তাব হয়ে অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাওয়ার কথা। সেই দিনই বিরোধী বামফ্রন্টের পরিষদীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। রাজ্যপালের বক্তৃতায় কী থাকে, তা দেখে নিয়ে পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করবে বিরোধীরা। সোমবার থেকে চলবে রাজ্যপালের বক্তৃতার উপরে বিতর্ক। তার পরে মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি বক্তৃতা।
আগামী সপ্তাহেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নির্বাচন রয়েছে, যেখানে ১২০ জন বিধায়ক-প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আছে। বিধানসভায় এখনকার শক্তির বিচারে পাঁচ জেলায় ৬টি আসনে জেতার মতো অবস্থায় রয়েছে বামফ্রন্ট। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের ঘরে বাম পরিষদীয় নেতৃত্বের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ওই ৬টির মধ্যে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক দু’টি করে আসনে প্রার্থী দেবে।
আরএসপি ও ডিএসপি-র জন্য থাকবে একটি করে আসন। জেলাভিত্তিক হিসাবে কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরের একটি করে আসনে প্রার্থী দেবে ফ ব, জলপাইগুড়ির একটি আসনে আরএসপি, বীরভূমের একটিতে সিপিএম। পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’টি আসন সিপিএম এবং ডিএসপি ভাগ করে নেবে বলে বাম সূত্রের খবর। |