বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম চন্দন লোহার। পেশায় গাড়ি চালক ওই যুবকের বাড়ি সারেঙ্গা থানার চৌতাড় গ্রামে। সারেঙ্গা থানারই শীতলপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী সোমবার দুপুরে পুলিশের কাছে চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বছর দু’য়েক ধরে চন্দনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চন্দন দীর্ঘদিন ধরে সহবাস করেছেন। এখন বিয়ে করত রাজি হচ্ছে না। এ দিন দুপুরে পুলিশ সারেঙ্গা এলাকা থেকে চন্দনকে গ্রেফতার করে। যদিও ধৃতের বাবা চুনারাম লোহারের দাবি, “ঘটনাটি জানি না। ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।” পুলিশ জানায়, ধৃতকে আজ মঙ্গলবার খাতড়া আদালতে হাজির করানো হবে।
অন্য দিকে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজেশ বাদ্যকর নামে পুরুলিয়ার কাশীপুর এলাকার ওই যুবককে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, ডোমপাড়ার বাসিন্দা রাজেশ তাঁর সঙ্গে আলাপ করার পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ করেছেন। ওই তরুণীর বাবার দাবি, তাঁর মেয়ে পাঁচ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় রাজেশকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলেও সে পুরো ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ধৃত যুবকের দাবি, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। |